চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) নতুন নিযুক্ত চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামানের সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিজিএমইএ চট্টগ্রামের নেতারা। বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে সাক্ষাৎ পর্ব হয়।
এ সময় সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দাবস্থায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিকূলতাসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে বাংলাদেশের প্রধানতম রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখিন। পরিস্থিতি উত্তরণে সরকারসহ সকলের সহযোগিতায় পোশাক শিল্পখাত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’
এ প্রেক্ষিতে তিনি পোশাক শিল্পের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পাদনে চবকের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
নজরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড খ্যাত তৈরি পোশাক শিল্প ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্য স্থির করেছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে এক যোগে কাজ করতে হবে। আমরা রাষ্ট্রকে একটি উন্নততর অবস্থায় পৌঁছে দিতে চাই। এর জন্য আমাদেরকেও যৌক্তিক কিছু সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।’
এ ক্ষেত্রে আগামী দিনের কথা চিন্তা করে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বে-টার্মিনালের কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়াসহ পর্যাপ্ত হ্যান্ডলিং ইক্যুপমেন্ট ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। পাশাপাশি বন্দরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চার্জ সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য চবকের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানান নজরুল ইসলাম।
সাক্ষাতে বিজিএমইএর সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘তৈরি পোশাক শিল্প সম্পূর্ণ ‘টাইম-বাউন্ড’ শিল্প খাত। বিদেশী ক্রেতার নির্ধারিত লীড টাইমের মধ্যে রপ্তানিতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের মারাত্মক আর্থিক ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে যদি আমদানি-রপ্তানিতে কোন প্রকার বিঘ্ন ঘটে, তবে এ শিল্প কোনভাবেই এর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে না, মুখ থুবড়ে পড়বে দেশের অর্থনীতি, যা আমাদের কারো কাম্য নয়।’
এ ক্ষেত্রে তিনি শতভাগ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের অন্যতম প্রধান সহায়ক গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা চবকের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশা করেন।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে শতভাগ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের অবদানের প্রশংসা করে এসএম মনিরুজ্জামান এ শিল্প দেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড। রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে চবক বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পাদনে সচেষ্ট থাকার ব্যাপারে বিজিএমইএর নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন।
তিনি বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনাগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে বিজিএমইএ, সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারসহ সব মহলের সহযোগিতা চান।
সাক্ষাৎকালে বিজিএমইএর পরিচালক এম এহসানুল হক, আমজাদ হোসাইন চৌধুরী, রাকিব আল নাসের, গাজী মো. শহীদউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
মেজর ফয়সাল পাশা (অবঃ)
অতিরিক্ত সচিব
বিজিএমইএ।