চট্টগ্রাম: দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি সাম্প্রতিক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণবিপ্লবের সব বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও আত্মার মাগফেরাত কামনা করছে। একই সঙ্গে শোক সন্তপ্ত সব শহীদ ও নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ এবং আন্দোলনে যারা আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করেছেন তাদের সুচিকিৎসা ও দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়েছে।
একটি দেশের অগ্রগতি, পথচলা ও দিকনির্দেশনায় ছাত্র ও যুবসমাজের ভূমিকা কতটা কার্যকর ও অপরিহার্য তা এ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফের প্রমাণ করল ন্যায়ের পক্ষে ছাত্র সমাজের আন্দোলনকে কখনোই দমিয়ে রাখা সম্ভব নয়। চিটাগাং চেম্বার বিশ্বাস করে এ তরুণ নেতৃত্বের হাত ধরেই একটি বৈষম্যবিরোধী ও প্রকৃত অর্থে গণতান্ত্রিক আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে খুব শিগগিরই।
চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় যদিও মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) হতে দেশের সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালু ও অফিস আদালত খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু, প্রকৃতপক্ষে নিরাপত্তা শঙ্কায় বহু প্রতিষ্ঠান এখনো তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসতে পারছে না। বিশেষ করে, দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য খালাস ও কাস্টমসের কার্যক্রমেও এক ধরনের ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে করে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রপ্তানিমূখী শিল্পের কাঁচামাল ও নিত্য প্রয়োজনীয়সহ বিভিন্ন আমদানি পণ্যের সরবরাহ, বিঘ্নিত হচ্ছে সামগ্রিক সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থা ও ব্যাহত হচ্ছে রপ্তানি কার্যক্রম। এক দিকে আমদানি নির্ভর কাঁচামাল সংকট অন্য দিকে রপ্তানি বিলম্ব, সব মিলিয়ে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মহীনতা ও স্থবিরতার উপক্রম হচ্ছে।
তাই, জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের স্বাভাবিক কার্যগতি ফিরিয়ে আনাসহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি অফিস এবং শিল্প ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান তথা বেসরকারি খাতের পথচলাকে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখতে জরুরী ভিত্তিতে সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সব সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা বিধান ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
ব্যবসায়বান্ধব পরিবেশ পুনরুদ্ধার, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির এক আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম চেম্বার সহযোগী ভূমিকা পালন করবে।