চট্টগ্রাম: জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (চউক) চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ। এ প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন বিগ্রেডের কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আহমেদ শাররিফ মানির সাথে সোমবার (১ জুলাই) বিকালে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পকে চট্টগ্রাম সিটির জন্য প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প উল্লেখ করে মোহাম্মদ ইউনুছ দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করার তাগিদ দেন।
তিনি বলেন, ‘দেশপ্রেমিক সেনা বাহিনীর মাধ্যমে চট্টগ্রাম নগরবাসী সবচেয়ে বড় দুর্ভোগ থেকে বহুলাংশে মুক্তি পেতে চলেছে। এ জন্য সেনা বাহিনীকে নগরবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’
সভায় চউক কর্তৃক গৃহীত ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুন: খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি, বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
চেয়ারম্যান প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন বিগ্রেডের কর্মকর্তাদেরকে কিছু সুনির্দিষ্ট পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেন ও চলমান বর্ষা মৌসুমে যাতে জলাবদ্ধতার কারণে জনদূর্ভোগ না হয়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন।
এছাড়াও, মোহাম্মদ ইউনুছ শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে ভালবেসে চট্টগ্রামের উন্নয়নে যে হাজার হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্পগুলো দিয়েছেন, তা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান ও প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে বেসামরিক ও সামরিক প্রশাসনের সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
আহমেদ শাররিফ মানি বলেন, ‘প্রকল্পটি বাংলাদেশ সেনা বাহিনী বাস্তবায়ন করলেও এর মূল উদ্যোক্তা চউক। চউকের নতুন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ দায়িত্ব গ্রহণের পর হতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে যে আন্তরিক সহযোগিতা করছেন, তা অতুলনীয়।’
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প ছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন বিগ্রেড কর্তৃক আরো যেসকল প্রকল্প চলমান রয়েছে, তার সম্পর্কে ধারণা দিয়ে চউকের চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এ বিশাল কর্মযজ্ঞের মধ্যেও জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পটিকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়। যার সুফল বিগত বর্ষা মৌসুমেও কিছুটা পাওয়া গেছে ও চলমান বর্ষা মৌসুমেও পাওয়া যাবে।’
সভায় চউকের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস্, সচিব মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমান, উপ-সচিব অমল গুহ, অর্থ ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজের, প্রকল্প পরিচালক আহমদ মঈনুদ্দিন, উপ-প্রকল্প পরিচালক কাজী কাদের নেওয়াজ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন বিগ্রেডের সিপিসি কর্নেল মোহাম্মদ ইমরান ইসলাম ভূঁইয়া, বর্ডার রোডের প্রকল্প পরিচালক কর্নেল মো. দেলোয়ার হোসেন তালুকদার, লে. কর্নেল নিজাম, জলাবদ্ধতা নিসরন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মো. ফেরদৌস আহমেদ, মেজর মোহাম্মদ রিজওয়ানুর রহমান রিকাবদার, মেজর রাকিব ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মেজর সরদার জিয়াউর রহমান (অব.) উপস্থিত ছিলেন।