সারাদেশে একে তো কঠোর বিধিনিষেধ, তার ওপর সাপ্তাহিক ছুটি। তাই আজ শুক্রবার সকাল থেকেই চট্টগ্রাম মহানগরীর মূল সড়ক গুলো ছিল প্রায় ফাঁকা। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে সকালে নগরীর কাঁচাবাজার গুলোতে দেখা যায় ক্রেতাদের ভিড়।
আজ শুক্রবার (২ জুলাই) নগরীর বহদ্দারহাট, মুরাদপুর কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, আন্দরকিল্লা, জামালখান, কাজীর দেউড়ি, লালখান বাজার, ওয়াসা মোড়, জিইসি, ২ নম্বর গেট ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়। আজ এই বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর গত এপ্রিল থেকে বিভিন্ন মাত্রায় বিধিনিষেধ জারি করে আসছিল সরকার। কয়েকটি জেলা ‘লকডাউন’ও করা হয়। তবে রাজধানীসহ সারা দেশে এবারের বিধিনিষেধের ভিন্ন দিক হলো, এ দফায় সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে মাঠে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে।
আজ সকালে চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান সড়ক গুলো ঘুরে একেবারে ফাঁকা দেখা যায়। সড়ক ফাঁকা থাকলেও কাঁচাবাজারগুলোতে ভিড় ছিল। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অনেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে কাঁচাবাজারে এসেছেন বলে জানান।
নগরীর চকবাজারের কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতারা শাক-সবজি, মাছ, মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনছেন। বাজার করে কেউ রিকশায়, কেউ হেঁটে বাসার দিকে রওনা দেন।
নগরীর দেবপাহাড় থেকে বাজার করতে এসেছিলেন মোহাম্মদ রানা তিনি বলেন, কয়েক দিন কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাসার বাজার ও প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বের হয়েছেন।
সবজি বিক্রেতা আহমদ সালেহ বলেন, বৃহস্পতিবার বাজারে তেমন লোকজন ছিল না। তবে শুক্রবারে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়েছে। তবে অন্য শুক্রবারের তুলনায় আজ বেচাবিক্রি কম।
সংসারের খরচ জোগাতে কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিককে হেঁটে কাজে যেতে দেখা গেল। তাঁদেরই দুজন জিয়াউর রহমান ও মো. শাহীন। তাঁরা জানালেন, গত দুদিন কোনো কাজ পাননি। আজ একটি কাজ পেয়েছেন। তাই বেরিয়েছেন। চট্টগ্রাম নগরের রাহাত্তরপুল থেকে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে সার্সন রোডে হেঁটেই এসেছেন তাঁরা। সেখানে একটি ভবনে ইট টানা ও ভাঙার কাজ করবেন৷ পথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা থাকলেও কেউ তাঁদের আটকাননি।
নগরীর ওয়াসা মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন সদস্য বলেন, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছে না। বাজার করাসহ খুব প্রয়োজনে কিছু লোক বের হচ্ছেন।