দিনাজপুর: দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২০ দিন পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকার পর ফের আমদানি শুরু হয়েছে। বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা আমদানি শুরু করেছেন।
মঙ্গলবার (৪ জুন) রাতে হিলি স্থল বন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক এসোয়েশনের সভাপতি হারুনুর রশিদ হারুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘গেল ২০ দিন পূর্বে দেশের পেঁয়াজের চাহিদা থাকায় একজন আমদানিকারক প্রাথমিকভাবে গেল ১৪ মে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছিলেন। মজুতদার ব্যবসায়ীরা এ আমদানির সংবাদ পেয়ে সাময়িকভাবে তাদের মজুদে রাখা পেঁয়াজ ঈদকে সামনে রেখে পেঁয়াজের বাজার ফের বেড়ে যায়। ফলে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা ফের ভারত থেকে পেঁয়াজ জামদানি সিদ্ধান্ত নেয়।’
হারুনুর রশিদ হারুন আরো বলেন, ‘মঙ্গলবার (৪ মে) রাত আটটায় ভারত থেকে পেঁয়াজ বোঝাই একটি ট্রাকে ৩৩ মেট্রিক টন হিলি বন্দরে প্রবেশের মধ্য দিয়ে আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়। সততা বাণিজ্যালয় নামের একটি আমদানি-কারক প্রতিষ্ঠান এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছে।’
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধি মাহাবুব হোসেন বলেন, ‘দেশের বাজারে আচমকা দেশীয় পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা হওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। লোকসানের আশঙ্কা থাকায় গেল ২০ দিন ধরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। যদি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের মূল্য পাওয়া যায়, তবে আমদানি অব্যাহতের পাশাপাশি ঈদের পূর্বে আমদানি আরো বাড়বে। ফলে, সাধারণ ক্রেতারা তাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে পেঁয়াজ কিনতে সক্ষম হবে।’
প্রসঙ্গত, অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট দেখিয়ে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। সেই নিষেধাজ্ঞা গেল ৪ মে তুলে নিয়ে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে দেশটি। ৪০ শতাংশ শতাংশ শুল্ক দিয়ে গেল ১৪ মে পেঁয়াজ আমদানি করে লোকসানে পড়েন হিলি স্থলবন্দরের এক আমদানিকারক। এরপর থেকে বন্ধ হয়ে যায় পেঁয়াজ আমদানি। প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ৫৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি হচ্ছে। আর প্রতি কেজিতে শুল্ক দিতে হচ্ছে প্রায় দুেই টাকার মত। ফলে, ৫৮-৬০ টাকা কেজি ধরে আমদানিকারকদের পাইকারিতে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হবে। খুচরা বাজারে পেঁয়াজ ৬৫ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করলে বাজারে নিয়ন্ত্রণে আসবে। এ ধারা বাহিকতা অব্যাহত থাকলে আমদানিকারকেরা ভারত থেকে পেঁয়াজ জামদানি অব্যাহত রাখতে পারবে।
















