ঢাকা: পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। গের বারের চেয়ে এবার প্রতি বর্গফুটের মূল্য পাঁচ টাকা বাড়িয়ে চামড়ার নয়া মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার মূল্য ৫৫-৬০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫০-৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) সচিবালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ সংক্রান্ত বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেয়া হয়। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর উপস্থিতিতে নয়া দাম ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘ঈদুল আজহা উপলক্ষে গেল বারের চেয়ে ঢাকায় প্রতি প্রতি বর্গফুট চামড়ার মূল্য পাঁচ টাকা বাড়িয়ে ও ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট সাত টাকা বাড়িয়ে কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই সাথে প্রতি পিস চামড়ার সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঢাকায় প্রতি পিস গরুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ২০০ টাকা ও ঢাকার বাইরে এক হাজার টাকা।’
এ বছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার মূল্য ৫৫-৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে; যা গেল বছর ছিল ৫০-৫৫ টাকা। আর এবার ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার মূল্য ৫০-৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে; যা গেল বছর ছিল ৪৫-৪৮ টাকা।
তিনি জানান, গেল বারের তুলনায় খাসির কাঁচা চামড়ার মূল্য ২-৫ টাকা বেশি ও বকরির চামড়ার মূল্য ছয় টাকা বেশি ধরা হয়েছে। এবারের ঈদে খাসির চামড়ার ক্রয় দাম প্রতি বর্গফুট ২০-২৫ টাকা ও বকরির চামড়ার ক্রয় দাম ১৮-২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘এ বছর প্রথম বারের মত প্রতি বর্গফুট মূল্য নির্ধারণের পাশাপাশি প্রতিটি চামড়ার সর্বনিন্ম মূল্য বেঁধে দেয়া হয়েছে। সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া বিক্রি নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
তিনি জানান, নির্ধারিত দামে চামড়ার বিক্রি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থা চামড়া বিক্রি কার্যক্রম তদারকি করবে।
চামড়া যেন কোনভাবে নষ্ট না হয়, সেই জন্য সময়মত চামড়া সংগ্রহ ও লবণ লাগানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
এ সময় বাণিজ্য সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ট্যানারি এসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
