চট্টগ্রাম: মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল আটটায় মাহিনুর (প্রিমিয়াম) শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে কাজ করার সময় একজন শ্রমিক উপর থেকে নীচে পড়ে মারা গেছেন। পরবর্তী হতভাগ্য শ্রমিককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শ্রমিকের নাম মোহাম্মদ মুসলিম। তিনি ফেনী পৌরসভাধীন দাগন ভুঁইয়া এলাকার আব্দুর রবের ছেলে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর।
জাহাজভাঙা শ্রমিক মুসলিমের মৃত্যুতে জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের পক্ষ থেকে সংগঠনের আহ্বায়ক তপন দত্ত ও যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ শফর আলী এবং এএম নাজিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন। তারা নিহত শ্রমিকের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘এরমধ্যে চারটি গ্রিন শিপ ব্রেকিং প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ও আরো একাধিক ইয়ার্ড গ্রিন শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের স্বীকৃতির অপেক্ষায় আছে। অধিকন্তু, বাংলাদেশ সরকার হংকং কনভেশন অনুস্বাক্ষর করেছে। এমন এক উত্তরণের প্রেক্ষাপটে আমরা আশা করেছিলাম, এবার অন্তত শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। কিন্তু, মঙ্গলবার জাহাজভাঙা শ্রমিক মুসলিমের মৃত্যুতে ফের জাহাজভাঙা শ্রমিকদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।’
নেতৃবৃন্দ জাহাজভাঙা শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিল্প মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ভূমিকা ও তদারকি ব্যবস্থা আরো কার্যকর করার জন্য আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ নিহত শ্রমিক পরিবারকে শ্রম আইন অনুযায়ী দুই লাখ টাকা ও জাহাজ পুনঃ প্রক্রিয়াজাতকরণ বিধিমালা ও আঞ্চলিক ক্রাইসিস প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আরো পাঁচ লাখ টাকাসহ মোট সাত লাখ টাকা দেয়ার দাবি জানান।