চট্টগ্রাম: তুরস্কের বাণিজ্য প্রতিনিধি দল চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা করেছে। বুধবার (১৫ মে) সিটির আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় চিটাগাং চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজ, প্রতিনিধি দলনেতা হেদায়েত ওনুর ওজদেন, তুর্কি দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর কেনান কালাইসি, সিনিয়র বাণিজ্য দূত সেলমা বারদাক্কি, বিভিন্ন সেক্টর বাণিজ্য প্রতিনিধি ইজিট আকবাস, তাইলান কোবান, সামেত গাজী সেপিটসিওগলু, এরকাম ইলদিরিম, হায়দার হোকেলেকলি ও ফাতিহ আয়দিন, চেম্বারের পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, মাহবুবুল হক মিয়া ও আখতার উদ্দিন মাহমুদ, রিয়ালেন্স শিপিংয়ের চেয়ারম্যান মো. রাশেদ ও এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ওয়াহিদ আলম, শেঠ প্রোপার্টিজের ডিরেক্টর উমাইর আলম শেঠ, শিপার্স কাউন্সিল অব বাংলাদেশের পরিচালক লোকপ্রিয় বড়ুয়া, বাংলাদেশ শিপিং এসোসিয়েশনের সাজ্জাদুর রহমান, একে খান গ্রুপের মোস্তফা একে খান, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি নির্বাহী সদস্য মহসিন উদ্দিন চৌধুরী, বিআরবি ক্যাবলসের মো. জাফর আহমেদ ও গাজী নাসির উদ্দিন, নাভানা গ্রুপের মো. সেলিম, আরআর গ্রুপের তাসফিকুল আলম বক্তব্য দেন।
সভায় ওমর হাজ্জাজ বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামকে দক্ষিণ এশিয়ার লজিস্টিক্স ও ইকোনমিক হাবে পরিণত করতে সরকার অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে এ অঞ্চলকে বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করেছে। এ অঞ্চলে রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু শিল্প নগর। তুর্কি ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী ও খাদ্যের বিশাল বাজার রয়েছে বাংলাদেশের।’
তিনি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের বিশাল বাজারে ঢুকতে ও ভৌগোলিক সুবিধা, বিনিয়োগবান্ধব ও ব্যবসায়বান্ধব পরিবেশ কাজে লাগিয়ে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানী, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, হালাল ফুড প্রসেসিং, আধুনিক এগ্রো প্রসেসিং সেক্টরে বিনিয়োগের আহবান জানান।
বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমি ও কক্সবাজারে বিদেশীদের জন্য বিশেষায়িত নাফ ও সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে তুর্কি ব্যবসায়ীদের একক বা যৌথ বিনিয়োগের আহবান জানান মর হাজ্জাজ।
হেদায়েত ওনুর ওজদেন বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হচ্ছে চট্টগ্রাম। এখানকার বন্দর সুবিধার কারণে চট্টগ্রাম ব্যবসায়ের অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাই হচ্ছে আলোচনার মূল লক্ষ্য। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টর উদ্ভাবন ও বিজনেস টু বিজনেস যোগাযোগের অংশহিসেবে এ মত বিনিময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
কেনান কালাইসি বলেন, ‘ভৌগোলিক ও জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই, দুই দেশের মধ্যে বিজনেস টু বিজনেস যোগাযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত দূতাবাস। এছাড়া, বাংলাদেশের সঙ্গে আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করবে তুর্কি দূতাবাস।’
অন্য বক্তারা বলেন, ‘বাংলাদেশে ইলেক্ট্রনিক্স, নবায়নযোগ্য জ্বালানী এবং এলএনজি গ্যাস এবং হালাল ফুডের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।’
পৃথিবীল অন্যতম জনসংখ্যা বহুল এ দেশের বাজার ধরতে এবং হালাল ফুড প্রসেসিংসহ এসব সেক্টরে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগের আহবান জানান বক্তারা।
















