চট্টগ্রাম: সদ্য এইচএসসি পাশ করা শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ফাতির ইশরাক আরিয়ান (১৯) নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শেষে শনিবার (১১ মে) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাসে করে পাহাড়তলী থানাধীন অলংকার মোড়ে এসে পৌঁছান। অলংকার মোড় থেকে সিএনজি করে খুলশী থানাধীন লেকভিউ আবাসিক এলাকাস্থ আত্মীয়ের বাসায় বিশ্রামে যান। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়ার পর খুলশী কনভেনশন সেন্টারের সামনে থেকে আরেকটি সিএনজিতে করে ঝাউতলাস্থ আরেক আত্মীয়ের বাসায় যান। সেখান থেকে ফির ওই সিএনজিতে করে শনিবার (১১ মে) রাত আটটার দিকে আকবরশাহ্ থানাধীন তোতন হাউজিংয়ে এসে নেমে যান। সিএনজি থেকে নামার কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি বুঝতে পারেন, নগদ ১২ হাজার টাকা, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও অন্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্রসহ ট্রলিব্যাগটি সিএনজির পেছনেই ফেলে এসেছেন। এ ব্যাপারে তিনি আকবর শাহ্ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডি পাওয়ার পর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পশ্চিম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ানের নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) স্পিনা রানী প্রামাণিক ও পাহাড়তলী জোনের সহকারি কমিশনার (এসি) মো. মঈনুর রহমানের তত্ত্বাবধানে আকবার শাহ্ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে আকবরশাহ্ থানার উপ পরিদশর্ক (এসআই) এইচএম ওয়াহিদুল্লাহ ও মো. মহসিন, সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) এনামুল হক ও মোঃ লাল মিয়াদের সমন্বয়ে আভিযানিক টিম গঠন করা হয়। ওই টিম ঘটনাস্থলসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে সিএনজিটির নম্বর শনাক্ত করে। তারপর হ্যালো সিএমপি অ্যাপের আমার গাড়ি নিরাপদ সেবার ডেটাবেইজের মাধ্যমে সিএনজির মালিক ও ড্রাইভারের তথ্য সংগ্রহ করে।
অভিযোগপ্রাপ্তির ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ফাতির ইশরাক আরিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ মালামালের ট্রলিব্যাগটি উদ্ধার করে তাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। আরিয়ান বহু বড় বিপদ থেকে বেঁচে গেলেন উল্লেখ করে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।