চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটির কালুরঘাট সেতুতে লাইটার জাহাজের ধাক্কার ঘটনায় তিন নাবিককে গ্রেফতার করেছে নৌ পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকালে সিটির কালুরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন জাহাজে কর্মরত কোয়ার্টার মাস্টার ফেরদৌস রহমান (২৪), সুকানি ইয়ামিন মোল্লা (২১) ও গীজার শাহাদাত হোসেন (২১)।
নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ তিনজনকে গ্রেফতারের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন।
এর পূর্বে, গেল ৩০ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে ‘এমভি সামুদা-১’ নামে লাইটারেজ জাহাজ কালুরঘাট সেতুতে ধাক্কা দিয়ে সেখানে আটকে যায়।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী লিমন মজুমদার বাদী হয়ে চট্টগ্রামের জিআরপি (রেলওয়ে) থানায় মামলা করেন। মামলায় জাহাজের মাস্টার, সুকানি, গীজারম্যানসহ অজ্ঞাত আরো দুই-তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, জাহাজের ধাক্কায় সেতুর ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খালি জাহাজটি বেপোরোয়া গতিতে এসে সংস্কারাধীন কালুরঘাট সেতুর নয় ও দশ নম্বর স্প্যানে ধাক্কা দেয়। এতে ব্রিজের নয় ও দশ নম্বর স্প্যানের আন্ডার স্ল্যাং গার্ডার, ওয়াকওয়ে, রেলিং ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এ দিকে, মামলার পূর্বেই জাহাজটি জব্দ করার কথা জানিয়ে একরাম উল্লাহ বলেন, ‘কালুরঘাটে সেতুতে ধাক্কা লাগার পরপরই জাহাজটি জব্দ করা হয়েছে। পরে এ ঘটনায় রেলওয়ে থানায় মামলা হয়। এরপর জাহাজের তিন নাবিককে গ্রেফতার করে নৌ পুলিশ।’
রেলওয়ে থানায় মামলা হলেও নৌ পুলিশ গ্রেফতারের কারণ জানিয়ে ওসি বলেন, ‘সেতুটি রেলওয়ে সেতু হওয়ায় মামলাটি রেলওয়ে থানায় হয়েছে। তবে, সেতুর পাটাতনের নিচের অংশ যেহেতু নদীতে ও ক্ষয়ক্ষতি সেখানে হয়েছে, তদন্ত নৌ পুলিশ করবে।’
বলে রাখা ভাল, গেল ৩০ এপ্রিল দুপুরে কালুরঘাট সেতুর মাঝ বরাবর ‘এমভি সামুদা-১’ নামে জাহাজটি ধাক্কা দিয়ে আটকে যায়। জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৬৬ দশমিক ৬৫ মিটার এবং ১১ মিটার প্রস্থ। এটি মেসার্স রোকনুর মেরিটাইম লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন জাহাজ।