• গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক আবেদিত
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
Chattogram Barta24
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • চট্টগ্রাম
  • সারাদেশ
  • বিশ্ব
  • অর্থনীতি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • সাক্ষাৎকার
  • মতামত
কোন ফলাফল নেই
সব ফলাফল দেখুন
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • চট্টগ্রাম
  • সারাদেশ
  • বিশ্ব
  • অর্থনীতি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • সাক্ষাৎকার
  • মতামত
কোন ফলাফল নেই
সব ফলাফল দেখুন
কোন ফলাফল নেই
সব ফলাফল দেখুন
প্রচ্ছদ আন্তর্জাতিক

অবকাঠামোর ক্ষতি ১৮৫০ কোটি ডলার; যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জিম্মি গাজা, অসহায় জাতিসংঘ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৪ ২০২৪, ২০:২১ অপরাহ্ণ
অ- অ+
গাজায় ইসরাইলের হামলায় মৃত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ১০৫ জনে
0
শেয়ার
0
দেখেছে
Share on FacebookShare on Twitter

গাজা, ফিলিস্তিনি অঞ্চল: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গেল সপ্তাহে যখন তার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত গাজা ‘যুদ্ধবিরতি’ প্রস্তাব পাস করে, তখন যুক্তরাষ্ট্র সময় নষ্ট না করে নির্লজ্জভাবে এ পদক্ষেপকে হেয় করেছে। যদিও অবরুদ্ধ ছিটমহলে গণহত্যার মাত্রা ও মার্কিনীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকার কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে ভেটো দেয়ার বদলে চুপ থাকতে বাধ্য হয়েছে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড জোর দিয়ে নিশ্চিত করেছিলেন, এ প্রস্তাব মানতে ইসরাইল বাধ্য নয়। এর ভিত্তিহীনতা সত্বেও, তার মন্তব্য অবশ্যই তেল আবিব ও জেরুজালেমের যুদ্ধ কক্ষে শোনা গিয়েছিল। ভোটের কয়েক ঘণ্টা পর, গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপরে দখলদার ইসরাইলে হামলা আরো তীব্র হয়েছে। সংবাদ দ্য নেশন, রয়টার্সের।

গাজার দক্ষিণতম শহর রাফাহতে, ইসরাইলের স্থল আক্রমণের বিরুদ্ধে হোয়াইট হাউসের উপদেশ এরমধ্যেই মার্কিন কূটনীতিক-ভাষণের নিষ্ঠুর কৃত্রিমতা প্রকাশ করেছে। যেমন প্লাস ৯৭২ ম্যাগাজিনের রুওয়াইদা কামাল আমের ও ইবতিসাম মাহদি নথিভুক্ত করেছেন, রাফাহ-এর ১৪ লাখ মানুষ, যাদের প্রায় সকলে গাজার উত্তর থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে, কয়েক মাস ধরে ইসরাইলের হামলার মুখে রয়েছে। ফলে, তারা তাদের ধ্বংস হওয়া বাড়িতে ফিরে যাওয়ার মত ঝুঁকি নিতেও বাধ্য হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হতাশার বিপরিতে, গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো দেয়া থেকে বিরত থাকা কিছু আশা জাগানোর জন্য যথেষ্ট ছিল যে, কয়েক মাস ব্যর্থ প্রচেষ্টার পরে, জাতিসংঘ অবশেষে ইসরাইলকে সংযত করার উপায় খুঁজে পেতে পারে। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক রিয়াদ মনসুর এমনকি এ প্রস্তাবটিকে ‘একটি টার্নিং পয়েন্ট’ বলে অভিহিত করেছেন। বাস্তবে, এ প্রস্তাবের প্রতি ইসরাইলের নির্লজ্জ অবহেলা এর সব গুরুত্ব ছিনিয়ে নিয়েছে।

সম্ভবত, সে কারণেই যুক্তরাষ্ট্র রেজোলিউশনটি ভেটো দিয়ে বাতিল করার প্রয়োজন দেখেনি। হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি জাতিসংঘের ভোটকে সমানভাবে খারিজ করেছিলেন। কিরবি সাংবাদিকদের বলেন যে, নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন, যা ‘মানবিক সহায়তার বিধানের সব বাধা অপসারণের’ আহ্বান জানায়, ‘ইসরাইলের উপর কোন প্রভাব ফেলবে না’ এবং ‘(মার্কিন) নীতিতে কোন পরিবর্তন’ হবে না। গাজা, একটি অবস্থান; যা সরাসরি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যৌথ ইচ্ছার বিরোধিতা করে।

শেষ পর্যন্ত, সেই ইচ্ছাটি প্রয়োগযোগ্য কিনা তার কোন গুরুত্ব থাকে না এবং দুঃখজনকভাবে, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়া, এটা হয় না, রেজোলিউশন পাসের পরের সপ্তাহে এর যথেষ্ট প্রমাণ দেখা গিয়েছে। গাজায় রক্তক্ষয়ী হামলা অব্যাহত থাকা অবস্থায়, বাইডেন প্রশাসন ইসরাইলের কাছে আরো ভয়ঙ্কর অস্ত্র সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে – যদিও স্বীকার করেছে যে, গাজাবাসীদের মধ্যে ক্ষুধা একটি মারাত্মক জায়গায় পৌঁছেছে। একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ব্যাপক অনাহার ‘আসন্ন’ ও ১৯৯২ সালের দুর্ভিক্ষের সময় শীর্ষে থাকা সোমালিয়ার চেয়ে বেশি মানুষ গাজায়ক্ষুধার্ত থাকার ঝুঁকিতে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস গাজায় ত্রাণ বিতরণে সাহায্য করা একমাত্র প্রতিষ্ঠান জাতিসংঘের রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখলেও ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও সুইডেনের মত দেশ এর বিপরীতে যোগ দিয়েছে। এ বিভেদে গাজার আত্মত্যাগের বৃহত্তর পাঠ নিহিত থাকতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি একটি নিয়ম-ভিত্তিক আদেশের আকাঙ্ক্ষা করে, তবে তারা আর তার সালিস হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ভরসা রাখতে পারে না।

এ দিকে, গাজায় টানা ছয় মাস ধরে চালানো ইসরাইলি ধ্বংসযজ্ঞ এতই ভয়াবহ, যুদ্ধের মাত্র চার মাসে প্রায় সাড়ে ১৮ বিলিয়ন বা এক হাজার ৮৫০ কোটি ডলারের অবকাঠামো হারিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) জাতিসংঘ ও বিশ্ব ব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে এসেছে। প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ‘ইসরাইলের হামলায় গাজায় চার মাসে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা ২০২২ সালে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজার সম্মিলিত জিডিপির ৯৭ শতাংশের সমান।’

জাতিসংঘ ও বিশ্ব ব্যাংকের প্রকাশিত অন্তর্র্বতীকালীন ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ধ্বংসের মাত্রা নজিরবিহীন। অব্যাহত যুদ্ধে গাজার সব বাড়ির প্রায় ৬২ শতাংশ বা দুই লাখ ৯০ হাজার ৮২০ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। যুদ্ধে গাজায় মোট ক্ষয়ক্ষতির ৭২ শতাংশ আবাসন খাতে হয়েছে। অর্থের মূল্যে এ ক্ষতির পরিমাণ ১৩ দশমিক তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
পানি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মত সরকারি খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৯ শতাংশ। বাণিজ্য ও শিল্প সম্পর্কিত ভবনে নয় শতাংশ। জ্বালানি, পানি ও পৌর খাত ৮০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ৮৪ শতাংশ স্বাস্থ্য কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। বাকিগুলোও বিদ্যুৎ ও পানির অভাবে কাজ করতে পারছে না। ফলে, গাজার জনসাধারণ ন্যূনতম সেবা নিতে পারছেন না বলে প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে।

স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মত গাজার শিক্ষা ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। গাজায় ছয় লাখ ২৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে এখন তাদের কেউ আর স্কুলে যেতে পারছে না। ইসরাইলের হামলায় প্রায় ৫৬টি স্কুল ধ্বংস হয়েছে এবং ২১৯টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে শিক্ষা অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩৪১ মিলিয়ন ডলার। ইসরাইলের হামলায় ২৬ মিলিয়ন টন ধ্বংসাবশেষ তৈরি হয়েছে। এসব ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করতে কয়েক বছর সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এখন পর্যন্ত মোট ক্ষয়ক্ষতির ৮০ শতাংশ গাজা, উত্তর গাজা ও খান ইউনিসে হয়েছে। বিত লাহিয়া ও রাফা এলাকায়ও উল্লেখযোগ্য ক্ষতি রেকর্ড করা হয়েছে।’

তবে, এখানেই শেষ নয়। যুদ্ধ এখানো চলছে। তাই, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে দক্ষিণ গাজার ক্ষেত্রে ব্যাপারটি আরো বেশি সত্য। প্রতিবেদনে গাজায় মানবিক সহায়তা, খাদ্য সহায়তা ও খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য আশ্রয় ও আবাসন সমস্যার সমাধান এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবা পুনরায় চালু করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ShareTweetShare

আরও পড়ুন

‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো ২০২৫’-এ অংশ নিল এনার্জিপ্যাক ফ্যাশনস
অর্থনীতি

‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো ২০২৫’-এ অংশ নিল এনার্জিপ্যাক ফ্যাশনস

চট্টগ্রামের মানুষকে গরুর মাংস কম খেতে বললেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
লীড-২

চট্টগ্রামের মানুষকে গরুর মাংস কম খেতে বললেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

ওসমান হাদির অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক : মেডিকেল বোর্ড
রাজনীতি

ওসমান হাদির অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক : মেডিকেল বোর্ড

ইউনিমাস হোল্ডিংসের সফলতার ১৬ বছর উদযাপন
অর্থনীতি

ইউনিমাস হোল্ডিংসের সফলতার ১৬ বছর উদযাপন

হাদির হামলাকারীদের ধরিয়ে দিলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জাতীয়

হাদির হামলাকারীদের ধরিয়ে দিলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিট ফাউন্ডেশন চট্টগ্রামের বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন
চট্টগ্রাম

হিট ফাউন্ডেশন চট্টগ্রামের বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন

পুরোনো সংখ্যা

সর্বশেষ

‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো ২০২৫’-এ অংশ নিল এনার্জিপ্যাক ফ্যাশনস

‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো ২০২৫’-এ অংশ নিল এনার্জিপ্যাক ফ্যাশনস

চট্টগ্রামের মানুষকে গরুর মাংস কম খেতে বললেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

চট্টগ্রামের মানুষকে গরুর মাংস কম খেতে বললেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

ওসমান হাদির অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক : মেডিকেল বোর্ড

ওসমান হাদির অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক : মেডিকেল বোর্ড

ইউনিমাস হোল্ডিংসের সফলতার ১৬ বছর উদযাপন

ইউনিমাস হোল্ডিংসের সফলতার ১৬ বছর উদযাপন

হাদির হামলাকারীদের ধরিয়ে দিলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হাদির হামলাকারীদের ধরিয়ে দিলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিট ফাউন্ডেশন চট্টগ্রামের বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন

হিট ফাউন্ডেশন চট্টগ্রামের বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন

Auto Draft

শক্তিশালী ব্যাটারি ও রিভার্স চার্জিং সক্ষমতা নিয়ে এল রিয়েলমি সি৮৫

অস্বস্তি কাটেনি পেঁয়াজের বাজারে

অস্বস্তি কাটেনি পেঁয়াজের বাজারে

ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ

ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ

সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন

সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন

cbarta24


সম্পাদক: মোহাম্মদ রুবেল খান
প্রকাশক: আবুল হোসাইন মো.কাউছার
যোগাযোগ
শাহী টাওয়ার (২য় তলা) এন.এ. চৌধুরী রোড, আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম।
০১৮৫১ ২১৪ ৭৪৭
cbartanews@gmail.com
কোন ফলাফল নেই
সব ফলাফল দেখুন
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • চট্টগ্রাম
  • সারাদেশ
  • বিশ্ব
  • অর্থনীতি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • সাক্ষাৎকার
  • মতামত

© ২০২২-২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত সিবার্তা ২৪

This website uses cookies. By continuing to use this website you are giving consent to cookies being used. Visit our Privacy and Cookie Policy.