করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪ হাজার ৫০৩ জনে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছে নতুন আরও ৮ হাজার ৮২২ জন। ফলে দেশে করোনায় মোট শনাক্তের সংখ্যা হলো ৯ লাখ ১৩ হাজার ২৫৮ জন।
বুধবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছিল ১১২ জনের এবং শনাক্ত হয়েছিল ৭ হাজার ৬৬৬ জন।
এর আগে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ১১২ জনের। সে পর্যন্ত এটি ছিল দেশের সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এরপর গত ২৫ জুন ২৪ ঘণ্টায় ১০৮ জনের মৃত্যু হয়ে দ্বিতীয় মৃত্যুর রেকর্ড হয়। তবে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে রোববার (২৭ জুন) ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয় ১১৯ জনের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ৫৬৫টি ল্যাবরেটরিতে ৩৭ হাজার ৮৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৫ হাজার ১০৫টি। দেশে এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৬৬ লাখ আট হাজার ৯২৭টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫০ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ লাখ ১৬ হাজার ২৫০ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৭২ জন ও নারী ৪৩ জন। মোট মৃত ১১৫ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১৯ জন ও বাসায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে
বয়সের হিসাবে বিশোর্ধ্ব চারজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১২ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৭ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৫ জন ও ষাটোর্ধ্ব ৫৭ জন।
বিভাগ হিসাবে ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রামে ২৩ জন, রাজশাহীতে ২৩ জন, খুলনায় ৩০ জন, বরিশালে দুইজন, সিলেটে তিনজন, রংপুরে ১১ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।