ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: প্রথম ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলনে ফিলিপাইন ও জাপানের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউস সোমবার (১৮ মার্চ) এ কথা জানিয়েছে।
চীনের বিরুদ্ধে এশিয়া প্রশান্ত-মহাসাগরীয় জোট আরো জোরদার করার চেষ্টার প্রেক্ষাপটে বাইডেন আগামী ১১ এপ্রিল হোয়াইট হাউসে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ ম্যার্কোস এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদ্রা সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যাঁ পিয়েরে বলেছেন, ‘এসব নেতা গভীর ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তিতে তৈরি ত্র্রিপক্ষীয় অংশীদারিত্বকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’
চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তি আরো জোরদার বিশেষকরে দক্ষিণ চীন সাগরে দেশটির সার্বভৌমত্বের দাবির প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র বার বার ‘মুুক্ত’ এশিয় প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলের দাবি জানিয়ে আসছে। বিশেষ করে প্রবাল প্রাচীরের কাছে ফিলিপাইন ও বেইজিংয়ের জাহাজের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে এ অঞ্চলে উত্তেজনা আরো তীব্র হয়ে উঠেছে।
এ দিকে, হোয়াইট হাউস বলেছে, ‘ত্রিপক্ষীয় সম্মেলনের পর ফার্দিনান্দ মার্কোসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন জো বাইডেন।
জ্যাঁ পিয়েরে বলেছেন, ‘বাইডেন যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইনের মধ্যে ইষ্পাতকঠিন সম্পর্ক পুনরায় নিশ্চিত করতে চান।’
জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে ফিলিপাইনে হামলা চালিয়ে তা দখলে নেয়। কিন্তু, বর্তমানে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ নানা খাতে দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রয়েছে।
এ দিকে, দুইটি দেশই যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র। চীন ও উত্তর কোরিয়াকে মোকাবেলায় বাইডেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ দুই দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরদার করতে চান।
অন্য দিকে, পৃথিবীর দুই শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলা উত্তেজনা কমাতে গেল বছরের নভেম্বরে ক্যালিফোর্নিয়ায় বাইডেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। কিন্তু, সামরিক থেকে সামরিক খাতে যোগাযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হলেও যুক্তরাষ্ট্র ও বেইজিংয়ের সম্পর্কে এখনো টানাপোড়েনেই আটকে আছে।