চট্টগ্রাম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ভিশন ২০৪১ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমাজের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় সব সেবা পৌঁছে দিতে শিক্ষিত তরুণ, যুবক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে বন্দর-পতেঙ্গা আসনের সাংসদ এমএ লতিফের উদ্যোগে যাত্রা শুরু হয়েছে ‘স্মার্ট জেনারেশন সোসাইটি’র। শনিবার (৯ মার্চ) বিকালে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে নতুন গঠিত স্মার্ট জেনারেশন সোসাইটির সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের স্বপ্নদ্রষ্টা, প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসন থেকে চার বার নির্বাচিত সাংসদ এমএ লতিফ।
ইপিজেড থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাকের আহমদ খোকনের সঞ্চালনায় সম্মলনে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান ও বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হক মিয়া, কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, জওহর লাল হাজারী, পুলক খাস্তগীর, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি দেবাশীষ পাল দেবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন কবি, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল আলম, চট্টগ্রাম বন্দর সিবিএর সাধারণ সম্পাদক নায়েবুল ইসলাম ফটিক, ছাত্রলীগ সাবেক সহ-সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন মোর্শেদ।
ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী আমাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়ায় আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। দেশের ইতিহাসে নারী অর্থ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল ও উন্নত বাংলাদেশে রূপান্তরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কাজ করে যাব।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেন বলেই মন্ত্রী সভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন চট্টগ্রামের কৃতি সন্তানদের। প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে স্বপ্ন সারথী হিসেবে কাজ করে যাব আমরা। একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে আগামীর তারুণ্যে শক্তিকে আরো উজ্জীবিত করতে এমএ লতিফ যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা দেশের সব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির জন্য অনুস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর বুকে উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করতে টানেল, বঙ্গবন্ধু শিল্প নগর, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বহু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। এর সুফল পেতে ও ব্যবসায়-বাণিজ্যে বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এ জন্য স্মার্ট জেনারেশন তৈরি করতে হবে। যারা হবে প্রযুক্তিতে পারদর্শী মেধাবী গোষ্ঠি। যারাই আগামীর উন্নত বাংলাদেশের কারিগর। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট সিটিজেন গড়ার যে উদ্যোগ নিয়েছেন এমএ লতিফ, তা অনুসরণযোগ্য। সবাই যদি এভাবে এগিয়ে আসে, তাহলে ২০৪১ সালের পূর্বেই স্মার্ট ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।’
সভাপতির বক্তব্যে এমএ লতিফ বলেন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পৃথিবী দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় আমরা এখন নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হচ্ছি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এ যুগে কল-কারখানায় ব্যবহার করা হচ্ছে রোবট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি। তাই, প্রযুক্তির এ লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে আধুনিক, দক্ষ, প্রশিক্ষিত প্রজন্ম গড়ে তোলা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কন্যার এবারের নির্বাচনে ইশতেহারে ছিল স্মার্ট বাংলাদেশ। তাই, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট সিটিজেনের কোন বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রীর ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে হাতিয়ার হবে স্মার্ট জেনারেশন সোসাইটি।’
















