চট্টগ্রাম: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবেশদ্বার। কারণ, ব্যবসায়ের প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে এ সমুদ্র বন্দর। চট্টগ্রামের জন্য আলাদা বাজেট প্রস্তুতসহ আরো নানা প্রকল্প নেয়া হয়ে থাকে। বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে আরো বেশ কয়েকটা সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে এবং এ নির্মাণ প্রক্রিয়া আজকের অর্থনীতির চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য পূর্ণ। কিন্তু, চট্টগ্রামের গুরুত্ব সব সময় থাকবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অপরিসীম।’
শনিবার (৯ মার্চ) নগরীর কিং অব চিটাগাং কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ষষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। চসিকের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে চসিকের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, সাংসদ এমএ লতিফ, মহিউদ্দিন বাচ্চু, আবদুছ সালাম, ভারতীয় হাই কমিশনার রাজীব রঞ্জন বক্তব্য দেন।
চসিকের প্রধান নির্বাহী শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন। এ সময় চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, প্যানেল মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে বর্তমান মেয়রের মেয়াদে অবকাঠামোগত উন্নয়নের তথ্য চিত্র তুলে ধরা হয়।
সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী বলেন, ‘সিটি কপোরেশনের বাইরেও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। তাছাড়া, চট্টগ্রামকে বিভিন্ন জলবায়ুর ঝুঁকি থেকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে এবং এগুলো বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে মূখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘স্থানীয় সরকার ও অন্যান্য সরকারি দপ্তরকে দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করতে হবে। উন্নয়ন করতে গেলে স্থানীয় উৎস থেকে অর্থ আহরণ করতে হবে। সাধারণ মানুষকে সেবা দিয়ে বুঝিয়ে দিতে পারলে যেমন ড্রেন বা নালাগুলো আবর্জনা মুক্ত করে দিলেন ও সেখানে দৃষ্টিনন্দন ফুলের চারা রোপন করে দিলেন। তখন মানুষ রাজস্ব জমা দিতে চাইবে। চসিক ও স্থানীয় সরকার মিলে কাজ করে গেলে কাজের অগ্রগতি আরো বৃদ্ধি পাবে ও সরকারের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা বাড়বে।’