করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে আগামীকাল থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এর ফলে বাড়তি কেনাকাটার উদ্দেশে নগরীর বহদ্দারহাট বাজারে ক্রেতাদের বাড়তি উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে নিত্যপণ্যের দাম আগের মতই আছে।
আজ বুধবার (৩০ জুন) বহদ্দারহাট বাজারে ক্রেতাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিছুটা বাড়তি পরিমাণে কিনতে দেখা গেছে।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সকাল থেকেই বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। তবে আগে লকডাউনের খবরে মানুষের মধ্যে যেমন পণ্য সংরক্ষণ করার প্রবণতা ছিল এবার সেটা নেই। পণ্যের সরবরাহও পর্যাপ্ত।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে লকডাউনে ক্রেতা-বিক্রেতারা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কেনাকাটা করতে পারবেন। তবে ৭ দিন কঠোর লকডাউন থাকায় যানবাহন চলবে না। তাই কিছুটা বাড়তি পণ্য কিনছেন ক্রেতারা।
তবে ক্রেতাদের হাতে বাড়তি পণ্যের ব্যাগ থাকলেও তারা বলছেন, লকডাউন হলেও যেহেতু কেনাকাটা করতে পারবো তাই বাড়তি কেনাকাটা করছি না। প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কিনতেই বাজারে আসা। করোনার মধ্যে যেহেতু ঘরে থাকতে বলা হয়েছে তাই বারবার যাতে বাজারে আসতে না হয়, সেজন্য কিছু পণ্য বেশি করে কিনে রাখছেন।
বোয়ালখালী স্টোরের বিক্রেতা আনিস বলেন, সকাল থেকেই মানুষ কেনাকাটা করতে বাজারে আসছে। তবে লকডাউনের কারণে আমরা কোন পণ্যের দাম বাড়াইনি। যেহেতু যানবাহন চলবে না তাই দূরের ক্রেতারা বাজারে আসতে পারবে না। তাই কাল থেকে বিক্রিও কিছুটা কম হবে।
বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী কামাল হোসেন বলেন, আমরা লকডাউনের জন্য বাজার করতে আসিনি। বাসায় বাজার শেষ হয়ে গেছে সেই কারণেই আসা। তবে সবজি একটু বেশি করে কিনলাম যাতে বাজারে বার বার না আসতে হয়। করোনা বাড়ছে সংক্রমণের ভয়ও তো আছে।
ভাইকে নিয়ে বাজারে এসেছেন নিতু আফরিন তিনি বলেন, সামনে কোরবানি মশলার দাম আরও বেড়ে যেতে পারে তাই কিছু মসলা কিনতেই বাজারে এলাম। আর কিছু কাঁচাবাজারেরও প্রয়োজন ছিল। যদিও লকডাউনে বেশি বেড় হতে চাই না। বাসায় আমাদের বয়স্ক বাবা মা আমাদের মাধ্যমে তারা সংক্রমিত হতে পারে।
উল্লেখ্য, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর লকডাউন দিয়েছে সরকার। এই সাত দিন অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ থাকলেও সকাল ৯টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান।