ঢাকা: ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারই রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা) পালনের ব্যবস্থা নেন।’
সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকার প্রাচীন বিদ্যাপীঠ ঢাকা কলেজের বার্ষিক ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ আরো বলেন, ‘২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের সিদ্ধান্ত দেন। যার দরুন পুরো দেশের মুসলমান না শুধু, পৃথিবীর মুসলমানদের জন্যও একটি সুসংবাদ ছিল। সরকারের এ সিদ্ধান্তকে দেশের সব স্তরের আলেম ওলামা পীর মাশায়েখ ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সাধুবাদ জানিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের প্রত্যেকটা সরকারি-আধা সরকারি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত হয়ে আসছে। যদিও বহু আগ থেকেই বাংলাদেশে ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনে সরকারি ছুটি ছিল।’
তিনি বলেন, ‘হযরত মুহাম্মদকে (সা.) সৃষ্টি না করলে আল্লাহ কোন কিছুই সৃষ্টি করতেন না। সব সৃষ্টির মূলেই রয়েছেন হযরত মুহাম্মদ (সা.)। হযরত মুহাম্মদকে পৃথিবীবাসীর জন্য রহমতস্বরুপ পাঠিয়ৈছেন।
হযরত মুহাম্মদ অন্ধকারচ্ছন্ন মানবকুলের প্রতি তৌহিদ ও রিসালাতের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হয়েছিলেন চরম নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার। তবুও কন্টাকীর্ণ পথ পাড়ি দিয়ে বিশ্বব্যাপী তৌহিদের বাণী পৌঁছে দিয়েছিলেন। পুরো পৃথিবীবাসীকে দেখিয়ে দিয়েছিলেন আলোর দিশা। তিনিই কতইনা মহান চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। আল্লাহ বলেছিলেন, ‘‘ইন্নাকা লায়ালা খুলুকিন আজীম।’’ আল্লাহ কোরআনে আরো সার্টিফাইড করেছিলেন যে, লাকাদ কানা লাকুম ফি রাসুলিল্লাহি উসওয়াতুন হাসানাহ। নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য রয়েছে রাসুলের (সা) মধ্যে উত্তম আদর্শ।’
অধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউসুপের সভাপতিত্বে মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক এটিএম মইনুল হোসেন, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস সিকদার।
মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ মিলাদুন্নবী (সা.) মাহফিলের উপস্থিত সবাইকে নিয়ে নিজেই দাড়িয়ে আবেগময় পরিবেশে মিলাদ পড়েন ও দেশবাসীসহ সর্বস্তরের মানুষের জন্য দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে মিলাদ শেষ হয়।