গাজা উপত্যকা, ফিলিস্তিনি অঞ্চল: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রদানের পরপরই গাজায় নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বৈশ্বিক শক্তিগুলো আবর্তিত ভয়ংকর সহিংসতার সংকট থেকে দ্রুততার সাথে বেরিয়ে আসার উপায় খোঁজার চেষ্টা করছে ও মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টা এখনো পর্যন্ত একটি যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
গাজার দুর্দশা বর্ণনা করে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বলেছে, ‘সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতার’ মুখোমুখি হওয়ার পরে সংস্থাটি অঞ্চলের উত্তরে নিদারুণভাবে প্রয়োজনীয় সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।’
হামাস জাতিসংঘ সংস্থার এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী শুধুমাত্র রোববার সরবরাহ ফের শুরু করেছিল। কিন্তু, সেখানে খাদ্যবাহী যানের বহরে গুলি চালানো হয়েছে ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এমনকি ট্রাক চালককে মারধরও করা হয়েছে।
হামাসের সরকারি মিডিয়া অফিস মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে বলেছে, ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি স্থগিত করার এ সিদ্ধান্তে আমরা হতবাক। উত্তর গাজায় খাদ্য সহায়তা বিতরণ বন্ধের অর্থ এক মিলিয়নের তিন-চতুর্থাংশ লোকের মৃত্যু।’
সংস্থাটিকে ‘অবিলম্বে তার বিপর্যয়কর সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করার’ আহ্বান জানিয়ে হামাস বলেছে, ‘আমরা এ পরিস্থিতির জন্য জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়ী বলে মনে করি।’
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা খাদ্য সংকটে নিমজ্জিত। সেখানে বাইরের সাহায্য কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ।
জাতিসংঘ বার বার ভয়ঙ্কর মানবিক বিপর্যয়ের সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে, ‘খাদ্য ঘাটতির কারণে সেখানে শিশু মৃত্যুর একটি ‘বিস্ফোরক’ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’
চার মাসেরও বেশি সময় অবিরাম যুদ্ধে গাজা প্রায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে, অঞ্চলটির দুই দশমিক দুই মিলিয়ন মানুষকে চরম দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে। জাতিসংঘের হিসাবে গাজার জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশ বাস্তুচ্যুত।