১৪ বছরের পথশিশু আব্দুর কাদেরের রাতের ঠিকানা ছিল রেল স্টেশনের পাথরের বেঞ্চি । বরিশাল কলোনীর মাদক স্পটের নিয়ন্ত্রক ডন ফারুকের মাদক ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত হয়ে একপর্যায়ে কাদের পরিচিতি লাভ করে ডাইল কাদের হিসেবে। পুলিশ ও র্যাবের বিভিন্ন অভিযানে একাধিকবার গ্রেফতার হওয়ার পরেও জামিনে বের হয়ে কাদের পুনরায় ফেন্সিডিল (ডাইল) ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।অবশেষে কোতোয়ালী থানা পুলিশের জালে দুই সহযোগীসহ গ্রেফতার হলেন ডাইল কাদের।
আজ সোমবার (২৮ জুন) ভোর ৫ টার দিকে কোতোয়ালী থানার মেরিনার্স রোডের পুরাতন ফিশারী ঘাট এলাকা থেকে পিকআপে করে
ফেন্সিডিল নিয়ে কক্সবাজার যাওয়ার সময় দুই সহযোগীসহ গ্রেফতার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
গ্রেফতার আব্দুল কাদের মুন্সিগঞ্জ জেলাল টংগীবাড়ির আব্দুর রহমানের ছেলে, মো. নিশান পাচঁলাইশ থানার মেয়র গলির সৈয়দ মো. নওশেদের ছেলে ও মো. শিপন কুমিল্লা জেলার দাইদকান্দি থানার ঘোষকান্দি গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে।
অভিযান পরিচালনাকারী কোতোয়ালী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জয়নাল আবেদীন বলেন, আজ ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মেরিনার্স রোডের পুরাতন ফিশারী ঘাট এলাকা থেকে ১৮ মামলার আসামী ডাইল কাদেরকে দুই সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয়। এসময় পিকআপে করে কক্সবাজার নিয়ে যাওয়ার জন্য সংগ্রহ করা ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন স্থানে ফেন্সিডিল বিক্রয়ে তার কমিশন এজেন্ট আছে। সে জানায় বর্তমানে ইয়াবার চাইতেও ফেন্সিডিলে লাভ বেশি। অধিক লাভবান হওয়ার কারণে সে এই ব্যবসা থেকে ফিরে যেতে চায় না। সে মোটরসাইকেল, রিক্সা, পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে একাধিক কর্মচারীর মাধ্যমে ফেন্সিডিল হোম ডেলিভারী দেয়।
কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ নেজাম উদ্দিন বলেন, মাদক সম্রাট ১৮ মামলার আসামী ডাইল কাদের কে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার দুই সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় কুমিল্লা থেকে কক্সবাজারে নেওয়ার উদ্দেশ্যে আনা ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।গ্রেপ্তার কাদেরের নামে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী থানায় ১টি, ডবলমুরিং থানায় ১৬টি ও কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানায় ১টি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতার ডাইল কাদের ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান।