রাজধানীর মগবাজারে একটি ভবনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত ও দগ্ধ হয়েছেন অর্ধশতাধিক। আহতদের মধ্যে ৪১ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ১০ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই পথচারী বলে জানা গেছে।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বড় মগবাজার এলাকার আউটার সার্কুলার রোডের ৭৯ নম্বর ভবনে এই বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণের কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- যে ভবন থেকে বিস্ফোরণের সূত্রপাত তার দোতলায় একটি ইলেকট্রনিক কোম্পানির গুদাম রয়েছে। ওই গুদামে থাকা এসি বা ফ্রিজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ঢাকা মেডিকেল সংবাদদাতা ৭ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ভবনটির নিচতলা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। প্রথমতলার ছাদও ধসে পড়েছে। বিস্ফোরণে আশপাশের অন্তত ৩০০ গজের মধ্যে থাকা ভবনগুলোও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রাস্তায় আটকে থাকা বাস ও গাড়ির কাঁচ ভেঙেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিস্ফোরণের সময় ওই ভবনের কিছু পলেস্তারা ধ্বসে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের ওপর পড়ে। এরপর ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। সেই আগুন উড়ালসড়কের ওপরে ও নিচে যাত্রীবাহী বাসে ছড়িয়ে পড়ে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা রাসেল শিকদার বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তারা বড় মগবাজারে একটি ভবনে বিকট শব্দে শীততাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায় বলে খবর পান। এরপর ঘটনাস্থলে ১৪টি ইউনিট পাঠানো হয়।
ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক (অপারেশন) দেবাশীষ বর্ধণ বলেন, ভবনটির নিচতলায় শর্মা হাউজ ও বেঙ্গল মিট নামে দুটি প্রতিষ্ঠান ছিল। দোতলায় সিঙ্গারের শো-রুম ছিল। সেখানে ফ্রিজসহ নানা ইলেকট্রিক পণ্য বিক্রি হতো। তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক্স পণ্য থেকে নাকি অন্য কিছু থেকে এই বিস্ফোরণ হয়েছে তা তদন্তের পর বলা যাবে।