কবরস্থান ও মাদ্রাসার পাশের ভবনে ফ্ল্যাট ভাড়া করে ৬ পাহাড়ী মারমা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে গড়ে তোলেন মদ তৈরির কারখানা। অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন মদ তৈরির কারিগরসহ। এসময় ৭শ ৬ লিটার দেশিয় মদ উদ্ধার করা হয়।
আজ রোববার (২৭ জুন) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) উত্তর বিভাগের এডিসি আবু বকর সিদ্দিক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খতিবেরহাট চোলাই মদের কারখানায় অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় মদ তৈরির উপকরণসহ বিপুল পরিমাণ চোলাই মদ জব্ধ করা হয়। এ কাজে জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খতিবেরহাট এলাকায় মসজিদের পশ্চিম পাশে কবরস্থান ও মাদ্রাসার পিছনে একটি পাঁচ তলা ভবনের ৫ম তলায় দুটি ফ্ল্যাট থেকে ৭শ ৬ লিটার দেশিয় মদ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার ৬ জনই রাঙামাটি জেলার পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তারা হলেন- উচির দোয়াই মারমা (88), মাসাং মারমা (৪০), আইজিং মারমা (৩৩), যে মারমা (৪০), আছেমা মারমা (৩০) ও ইইয়ং মারমা (২০)।
পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, মসজিদের পশ্চিম পাশে কবরস্থান ও মাদ্রাসার পাশে একটি দুইটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে ১ বছর ধরে মদ তৈরি করে আসছে তারা। ওই এলাকায় মানুষের চলাচলও বেশি ছিল। কবরস্থান ও মাদ্রাসার পাশের ভবন হিসেবে পুলিশকে ফাঁকি দেওয়ার জন্যই তারা ফ্ল্যাটগুলো বেছে নিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, তৈরিকৃত মদ পলিথিন ও স্যালাইনের ব্যাগে করে নগরের লালখান বাজার, চকবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে মাদকসেবীদের কাছে বিক্রি করা হতো। নগরের বিভিন্ন স্থানসহ চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় তৈরিকৃত দেশিয় মদ ও মদ তৈরির উপকরণ সরবরাহকারী এবং মদের ক্রেতা-বিক্রেতা ও মাদকসেবীদের তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। মদের কারখানা তৈরিতে সহায়তার জন্য ভবনের মালিক বা অন্য কেউ জড়িত আছে কি-না, সেটা তদন্তাধীন। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাঁচলাইশ জোনের এসি শহীদুল ইসলাম, উত্তর বিভাগের পরিদর্শক (ক্রাইম) মো. মোস্তাফিজুর ও পরিদর্শক (তদন্ত) মো.কবিরুল ইসলাম।