নগরীর পতেঙ্গা থানা এলাকায় ১৪ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় বোট মালিক রাজীব দাসকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
আজ রোববার (২৩ জানুয়ারি ) বিকেলে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এ রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১টার দিকে বন্দরের ১ নম্বর বয়ার অদূরে ‘এফবি রাজীব’ নামের কাঠের তৈরি একটি মাছ ধরার বোটের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তা থামতে সংকেত দিয়েছিল নৌবাহিনী। কিন্তু ট্রলারটি কর্ণফুলী নদীর দিকে না এসে গতিপথ পরিবর্তন করে।
এ সময় স্পিডবোট নিয়ে ধাওয়া করলে চোরাকারবারিরা ট্রলারটি নিয়ে আনোয়ারার পারকি সৈকতের দিকে চলে যায়। পরে বোটে তল্লাশি চালিয়ে স্কচটেপ মোড়ানো প্যাকেটভর্তি ১৪ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
বোটটি নৌবাহিনীর ফ্লোটিলা জেটিতে (৪ নম্বর) নোঙর করা হয়। উদ্ধার হওয়া ইয়াবা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক তপন কান্তি শর্মা ১৪ লাখ ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। ইয়াবা উদ্ধারের ৭ মাস পর একই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর রাতে পতেঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম মেট্রো-উপ অঞ্চলের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক চৌধুরী ইমরুল হাসান। মামলায় বোট মালিক রাজিব দাশ ও তার ভাই খোকন দাশ এবং জাহাঙ্গীর আলম ও ট্রলারের মাঝি মো. সেকান্দারকে আসামি করা হয়েছিল। আদালতে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল।
রাজীব দাসকে দুই ধারায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও তিনজন আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
















