বাঁশখালী পেকুয়া-কুতুবদিয়া এলাকার কুখ্যাত জলদস্যু কবীর বাহিনীর প্রধান নূরুল কবীর, সেকেন্ড ইন কমান্ড মামুন ও তাদের ১৩ সহযোগীকে বিপুল পরিমাণ দেশী-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
আজ শনিবার বিকাল ৫ টায় র্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে.কর্ণেল এসএম ইউসুফ এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ নুরুল কবির,মোঃ মামুন,মোঃ আব্দুল হামিদ প্রকাশ কালা মিয়া,মোঃ ইউসুফ,মোঃ হাসান,মোঃ নুরুল আফসার,আবু বক্কর,গিয়াস উদ্দিন,নুরুল কাদের,মোঃ সফিউল আলম (মানিক),মোঃ আব্দুল খালেক,মোঃ রুবেল উদ্দিন, মোঃ সাইফুল ইসলাম জিকু,মোঃ সুলতান ও মোঃ মনজুর আলম।
এসময় তাদের কাছ থেকে ২টি বিদেশী পিস্তল, ৬টি ওয়ানশুটার গান, ৪ টি কার্তুজ, ৫টি ক্রিজ, ১টি ছুরি, ১টি রামদা, ২টি হাসুয়া উদ্ধার করা হয়।
অধিনায়ক এসএম ইউসুফ বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি ১৭ জনকে অপহরণ করে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে জলদস্যু বাহিনীটি। পরে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে মুক্তি লাভ করে অপহরণের শিকার জেলেরা। এ বিষয়ে র্যাব-৭ এ অভিযোগ করা হলে তাদের উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে গত ১৪ জানুয়ারি জলদস্যুরা কবীরের নেতৃতে ইউসুফের একটি নৌকা ভাড়া করে যার মধ্যে পেকুয়ার মগনামাঘাট থেকে ৭ জন কুখ্যাত জলদস্যু উঠে এবং কুতুবদিয়া থেকে আরো ৮ জন জলদস্যূ নৌকাটিতে উঠে। ঐ দলে জলদস্যুর সংখ্যা ছিল মোট ১৫ জন। তারা সংগঠিত হয়ে পুনরায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।এরই প্রেক্ষিতে ২১ জানুয়ারি র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক চৌকস দল চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে কবির বাহিনীর প্রধান কবীরসহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরো বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি অপহরণকৃত ১৭ জন জেলের মধ্যে ১৬ জনকে উদ্ধার করা হলেও নোয়াখালী সদর এলাকার আনোয়ার হোসেন নামে এক জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছে। গ্রেফতারকৃত
জলদসূদের কাছ থেকে জানা যায় যে, গত ১৬ তারিখ রাতে অপহৃত জেলেদেরকে ব্যাপক নির্যাতন করা হলে জেলে আনোয়ার অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং পরে তাকে সাগরে ফেলে দেওয়া হয়।
গ্রেফতারকৃত এই জলদস্যুদের প্রায় প্রত্যেকের নামেই অপহরণ ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
















