বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সিঞ্চন ভৌমিক’র নেতৃত্বে ঢাকা টিএসসি রাজু ভাস্কর্যের সামনে গত ৩১ ডিসেম্বর সকাল ১০ ঘটিকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আগামী ১২ জানুয়ারি ২০২২ বিপ্লব মহানায়ক মাস্টারদা সূর্য সেন ও বিপ্লবী নেতা তারকেশ্বর দস্তিদার’র ৮৯তম ফাঁসি দিবসের আগে ঐতিহাসিক নিদর্শন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি মঞ্চে বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার’র নাম ও ম্যুরাল সংযুক্ত করার দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন, কারাগারে ফাঁসির মঞ্চে বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদারের নাম ও ম্যুরাল স্থাপনের জন্য গত ২৬ আগষ্ট ২০১৮ ইং জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ১২ অক্টোবর ২০১৮ ইং সাংবাদিক সম্মেলন ও ২২ মার্চ ২০১৯ইং চট্টগ্রামের প্রগতিশীল সমাজ মানববন্ধন করে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানানো হয়। কিন্তু প্রশাসন কোন ভূমিকা না রাখার কারণে আমরা আজকে রাজপথে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছি। যখন দেশে মুজিব শতবর্ষ, স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় কবি কাজী নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ পালনের মধ্য দিয়ে সরকার স্বাধীনতার অস্তিত্ব রক্ষার জন্য অনেক প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখলেও বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদারের স্মৃতি রক্ষায় কোন ভূমিকা না রাখার জন্য বক্তারা দুঃখ প্রকাশ করেন।
বক্তারা আরো বলেন, ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি রাত ১ঘটিকায় ব্রিটিশদের সাজানো ৩য় অস্ত্রাগার লুণ্ঠন মামলায় ভারতীয় দন্ডবিধির ১২১ ধারায় বিপ্লবী মহানায়ক মাস্টারদা সূর্য সেন ও বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদারকে একই সাথে একই সময়ে একই ফাঁসির মঞ্চ চট্টগ্রাম কারাগারে ফাঁসিতে প্রাণ দেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে উক্ত ফাঁসির মঞ্চে মাস্টারদা সূর্য সেনের নাম ও ম্যুরাল ২০১২ সালে প্রশাসন স্থাপন করলেও কিন্তু বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদারের কোন স্মৃতিচিহ্ন নেই। এভাবে চলতে থাকলে একদিন ইতিহাসের পাতা থেকে বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার হারিয়ে যাবে। উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব মোঃ তানভীর আহমেদ, মোঃ জসিম উদ্দীন, মোঃ সাইফুল কবির, সজল চৌধুরী প্রমুখ।
















