নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘এমভি অভিযান-১০’ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুগন্ধা নদী থেকে আরও এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
উদ্ধার অভিযান থেকে কোস্ট গার্ডের পেটি অফিসার আলমগীর হোসেন জানান, সুগন্ধা নদীর চরবাটারকান্দা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকালেও এক যুবকের মৃতদেহ ভেসে উঠে সুগন্ধা নদীতে।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় সুগন্ধা নদীতে একজনের মরদেহ ভেসে ওঠে। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ডুবুরি দল মরদেহটি উদ্ধার করে। তারা জানায়, উদ্ধারকৃত যুবকের মুখমণ্ডল আগুনে পোড়া। গায়ে সোয়েটার রয়েছে। তবে এখনো তার পরিচয় শনাক্ত হয়নি। এ নিয়ে মঙ্গলবার একদিনে দুইটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো ঝালকাঠি সিআইডি পুলিশের পক্ষ থেকে শহরের পৌরমিনি পার্ক ডিএনএ টেস্টের জন্য এলাকায় স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সুগন্ধা পাড়সহ ঝালকাঠিতে অবস্থান নিয়ে নিখোঁজদের স্বজনরা এখন মরদেহ খুঁজে ফিরছেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘এমভি অভিযান-১০’ এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। লঞ্চটি রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি টার্মিনালের কাছাকাছি পৌঁছালে ইঞ্জিনরুমে লাগা আগুন মুহূর্তেই পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এতে দগ্ধ হয়েছেন বহু মানুষ। তাদের মধ্যে এখনো অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদেরকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
যাত্রীরা জানান, লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালের ঠিক আগে গাবখান সেতুর কিছু আগে লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে আগুন লেগে যায়। এরপর সেই আগুন পর্যায়ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে।
















