মো. মহিউদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার :
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে শেষ হয়ে যাচ্ছে চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার ৪ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণা। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোটযুদ্ধ। তাই শেষ মুহুর্তে প্রচারণায় ব্যস্ত দিন পার করছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন শুক্রবার হওয়ায় প্রার্থীদের ব্যস্ততাও বেড়ে গেছে অনেক। অনেকটা শেষ মুহুর্তে এসে জমে উঠেছে কর্ণফুলী উপজেলার ৪ ইউপি নির্বাচনের প্রচারণা।
২৬ ডিসেম্বর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন শিকলবাহা, জুলধা, চরলক্ষ্যা ও বড়উঠান ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে বড়উঠানে ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী দিদারুল আলম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ কারণে ওই ইউনিয়নে শুধুমাত্র সাধারণ মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এই ৪টি ইউনিয়নের মধ্যে জুলধায় ১৩৩৭৯, শিকলবাহায় ৩১৬৭৪, বড়উঠানে ২৭৩৪০ এবং চরলক্ষ্যা ইউনিয়নে ২১৫৮৭ ভোটার রয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনী প্রচারণার শেষ সময়ে যাতে এলাকায় কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও টহল জোরদার করেছে। মাঠে রয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ইউএনও) শাহিনা সুলতানা ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরীন আক্তারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অপরদিকে নির্বাচনের শেষ সময়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজার-চায়ের দোকানে আড্ডা জমে উঠেছে। ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে নানা ধরনের যুক্তিতর্ক তুলে ধরছেন। তবে সব ভোটারদের একটিই কথা— যোগ্য প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার নির্বাচিত হোক। অনেক ভোটার প্রতীকের চেয়ে প্রার্থীকে বিবেচনায় রাখছেন।
উপজেলার অন্য ৩ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে লড়ছেন। এই নির্বাচনে প্রচারণা চলাকালে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া না গেলেও একে অপরের উপর অভিযোগও দিচ্ছে একাধিক।
তবে সব মিলিয়ে ভোটারদের আশা, রোববার (২৬ ডিসেম্বর) একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবে প্রশাসন।
কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল শুক্কুর বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার শেষ মুহুর্তে যাতে কোন ধরনের সহিংসতার ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে চার ইউনিয়নে ৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট ও র্যাবের দুটি মোবাইল টিম ও একটি স্ট্রাইকিং টিম, বিজিবির দুই প্লাটুন সদস্য মিলে কয়েক শতাধিক আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
















