কায়সার হামিদ মানিক, কক্সবাজার প্রতিনিধি: রামুতে নতুনভাবে রুপ ফিরে পাচ্ছে রামু উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা রামু পাবলিক লাইব্রেরি। সদস্য সহ পরিচালনা কমিটির নানা ব্যর্থতার কারনে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল পাঠক নন্দিত পুস্পালয় রামুর ঐতিহ্য মন্ডিত পাবলিক লাইব্রেরি। যেই লাইব্রেরি ঘুরে দেখামেলেছে শতবর্ষীয় পুরনো বই সহ নানা দিনলিপি।
অন্তহীন জ্ঞানের আঁধার হল বই, আর বইয়ের আবাসস্থল হোল গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরি। মানুষের হাজার বছরের লিখিত-অলিখিত সব ইতিহাস ঘুমিয়ে আছে একেকটি গ্রন্থাগারের ছোট ছোট তাকে। গ্রন্থাগার হোল কালের খেয়াঘাট, যেখান থেকে মানুষ সময়ের পাতায় ভ্রমণ করে।
প্রাচীন শিলালিপি থেকে আধুনিক লিপির গ্রন্থিক স্থান হল লাইব্রেরি। একটি গ্রন্থাগার মানব জীবনকে যেমন পাল্টে দেয় তেমনি আত্মার খোরাকও যোগায়। তাই গ্রন্থাগারকে বলা হয় শ্রেষ্ঠ আত্মীয় যার সাথে সবসময় ভালো সম্পর্ক থাকে। আর জ্ঞানচর্চা ও বিকাশের ক্ষেত্রে গ্রন্থাগারের ভূমিকা অনন্য।
জানা যায়, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমার আন্তরিকতায় এক ঝাক তরুণদের উদ্যােগে রামু সরকারী কলেজের অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সমন্বয়ে রামুর বই প্রেমিকদের প্রিয় স্থান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা রামু পাবলিক লাইব্রেরি সেই পুরানো ও রূপে ফিরে যাচ্ছে।সে হিসাবে কবি, লেখক ও পাঠকের এইবার মিলন মেলায় নতুন প্রজন্ম পাবে সৃষ্টিশীলতা আর সাহিত্য চর্চার সুযোগ। আর বিভিন্ন কাঠ দিয়ে তৈরি করা হবে পাঠকদের সুবিধার্থে প্রকৃতির আলোতে বই পড়ার দৃষ্টিনন্দন আসর।
পাবলিক লাইব্রেরি সংস্কারকদের অন্যতম রামু উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও মানবিক সংগঠন স্বপ্নের চেয়ারম্যান সুমথ বড়ুয়া।
তিনি জানান, রামুর কিছু মানবিক উদ্যমী তরুণদের সাথে নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা পাবলিক লাইব্রেরীর সংস্কার কাজ শুরু করেছি এবং আমাদের কাজ চলমান রয়েছে, আমরা আশা করি বেশ অল্প সময়ের মধ্যে সকলের সহযোগিতায় পাঠকের মনের মত পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারব এবং পাঠক ও বই প্রেমিদের অনুরোধ জানাব আপনারা আগের ত পুনরায় বই পড়তে আসবেন বলে আশা রাখি।
রামু লেখক ফোরামের সভাপতি, তরুণ লেখক, সাহিত্যিক হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর বলেন, ভার্চুয়াল জগতের নানামুখী অনৈতিকতার স্রোতে হারিয়ে যেতে বসা নবপ্রজন্মকে বইমুখী করতে এবং সমাজে জ্ঞান-প্রজ্ঞার আলো ছড়িয়ে দিতে পাঠাগার বা লাইব্রেরির ভূমিকা অনস্বীকার্য।
এই লক্ষ্যে রামুর সমৃদ্ধ, অথচ দীর্ঘদিন ধরে অবেহেলিত রামু পাবলিক লাইব্রেরি পুনরায় সচল করার উদ্যোগের খবর শুনে একজন বইপ্রেমী ও পাঠাগার উদ্যোক্তা হিসেবে আমি আনন্দাভিভূত। আমি এ মহতি সিদ্ধান্ত ও সাহসী পদক্ষেপ গ্রহনে প্রত্যয়ীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পাবলিক লাইব্রেরির সভাপতি বাবু প্রণয় চাকমা বলেন, বেশ কিছু সময় ধরে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছিল লাইব্রেরির,,তাদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে। পাঠকদের অনুরোধ জানাব লাইব্রেরির পাশে থাকার জন্য।