পতেঙ্গার স্টিল মিল বাজারের নিউ মুন বেকারি থেকে ২৫ টাকার সমুচা কিনে ইএফডিতে মাত্র দেড় টাকা ভ্যাট দিয়ে ১০ হাজার টাকার পুরস্কার জিতেছেন মোহাম্মদ আল মারুফ।
আজ বুধবার (২৩ জুন) দুপুরে আগ্রাবাদের সৈকত সম্মেলন কক্ষে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন লটারি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
ভ্যাট অফিস সুত্রে জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলার চেঁচুরিয়া এলাকার মোহাম্মদ আল মারুফ উত্তর পতেঙ্গার স্টিল মিল বাজারের নিউ মুন বেকারি থেকে ২৫ টাকার সমুচা কিনে ইএফডিতে ভ্যাট দিয়ে ইনভয়েস (রশিদ) সংরক্ষণ করে গত ৫ জুন এনবিআরের লটারিতে পুরস্কার জিতেন।
অনুষ্ঠানে ভ্যাট কমিশনার বলেন, ডিজিটাল রাজস্ব ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করছে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি। ইএফডির ইলেকট্রনিক চালান ইস্যুকে উৎসাহিত করতে এ লটারির আয়োজন। প্রতি মাসের ৫ তারিখ ১০১ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। এ পুরস্কার ভ্যাট ও আয়করমুক্ত। আমরা অনুরোধ করবো, যখনি কেনাকাটা করবেন ইএফডি মেশিন আছে এমন প্রতিষ্ঠান থেকে ইনভয়েস বা রশিদ বুঝে নেবেন। এ ডিভাইস এনবিআরের কেন্দ্রীয় সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত। ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা হবে। কেউ যদি ইএফডির চালান ইস্যু না করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
মারুফের সঙ্গে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় দক্ষিণ হালিশহরের সিইপিজেড ক্যাফেটেরিয়া থেকে ৭৭৫ টাকায় ৩ প্যাকেট লাঞ্চ কিনে ভ্যাটের পুরস্কার জেতা মো. আজহারুল আনোয়ার চানুর প্রতিনিধির হাতে।
যুগ্ম কমিশনার মুশফিকুর রহমান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, দেশে ইএফডি একটা পর্যায়ে এসে গেছে। কালচারে পরিণত করতে এনবিআর পুরস্কার প্রচলন করেছে। প্রথম পুরস্কার ১ লাখ টাকা। গ্রাহক ইএফডি চালান সংরক্ষণ করতে হবে। পুরস্কার বিজয়ীরা নিকটস্থ ভ্যাট অফিস থেকে সহজে পুরস্কার বুঝে নিতে পারবেন।
চট্টগ্রামে ৫২০টি প্রতিষ্ঠানে ইএফডি মেশিন দিতে পেরেছি। কয়েক মাসের মধ্যে আরও ৫০০ দেওয়া হবে। ক্রমে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইএফডির আওতায় আনা হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, উপ কমিশনার শাহীনূর কবির পাভেল, মো. আহসান উল্লাহ, সাইদ আহমেদ রুবেল, সহকারী কমিশনার অনুরূপা দেব, এইচএম কবির, এসএম সরাফত হোসেন, এআরও মোহাম্মদ আবদুল কাদির প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন উপ কমিশনার ফাতেমা খায়রুন নূর।