পাওনা বেতন-ভাতার দাবিতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল মহাব্যবস্থাপকের (জিএম) কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে রেলশ্রমিকদের সংগঠনগুলো। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের কর্মকর্তারা।
বুধবার (২৩ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিআরবির জিএম কার্যালয়ে শ্রমিক সংগঠনগুলো সম্মিলিতভাবে এ আন্দোলন শুরু করে।
পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের কর্মকর্তারা।
এসময় তারা কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপিও দেন।
রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, আমাদের আগে এনালগ পদ্ধতিতে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হতো। বর্তমানে আইবাস প্লাস সিস্টেমের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে বেতন-ভাতা পরিশোধের প্রক্রিয়া চালু করতে যাচ্ছে। কিন্তু পুরোপুরি সিস্টেম চালু করার আগেই আমাদের দুই-তিন মাসের বেতন ও ভাতা আটকে গেছে। এতদিন বেতন ছাড়া আমাদের পরিবারগুলো কিভাবে চলছে- তা নিয়ে কারো মাথাব্যথা নেই।
রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাজেট এবং আইবাস প্লাস সিস্টেমের জটিলতার কারণে আমাদের অনেক শ্রমিক নিয়মিত বেতন ও পেনশন পাচ্ছেন না। মাইলেজ ভাতা নিয়েও সমস্যা হচ্ছে। এসব সমস্যা নিরসনে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছে।
জানা গেছে, গত তিন মাস ধরে বেতন বকেয়া রয়েছে রেলের মেডিক্যাল, মেকানিক্যাল, ট্রাফিক, সিগন্যাল ও ইলেকট্রিক বিভাগের প্রায় ২ হাজার কর্মচারীর।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শ্রমিকরা যেসব দাবি দিয়েছে-তা আমরা দেখছি। তাদের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছি।