আনোয়ারা প্রতিনিধি: আনোয়ারা উপজেলায় মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবকদের উপর দুই দিনে দফায় দফায় মাদক কারবারিদের হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২১ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ৬নং বারাখাইন ইউনিয়নের শোলকাটা মেডিকেলের চার রাস্তা মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে । এসময় সংজ্ঞবদ্ধ মাদক কারবারীদের হামলায় স্থানীয় ৫ যুবক গুরুতর আহত হয়েছে ।
আহত যুবকরা হলেন, স্থানীয় মৃত খায়ের আহমদের ছেলে মোঃ মনসুর (৩৩), আব্দুস শুক্করের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৩৯), মৃত মফজল আহমদের ছেলে আব্দুল মান্নান (৩০), আব্দুল মালেকের ছেলে মোহাম্মদ রাশেদ (২৮), আবু তাহেরের ছেলে রমিছ উদ্দীন (২৮)।
পরবর্তীতে শোলকাটা সমাজ কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় ফারুকের ছেলে শাহজাহান বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, থানায় অভিযোগ দায়ের করায় ২২ জুন বিকাল থেকে বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কয়েক দফায় এলাকায় হামলা চালায় কথিত মাদক কারবারিরা ।
অভিযুক্তরা হলেন, বারাখাইন ইউনিয়নের শোলকাটা পুরাতন মেডিকেল কলোনির বাসিন্দা আব্দুর রহমানের ছেলে মোঃ ইলিয়াস প্রকাশ (কালা), আব্দুর রহমানের ছেলে রনি, ওসমান গনির ছেলে সবুজ, আব্দুর রহমানের ছেলে হুমায়ুন, মোঃ কামাল, মোঃ বাদশা, মোঃ ইলিয়াস (কালা)’র ছেলে সম্রাটসহ অজ্ঞাত আরো ৫জন।
অভিযোগ সূত্র জানা যায়, অভিযুক্তরা মাদক, জুয়া, নারী ব্যবসা থেকে শুরু করে নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। বিভিন্ন থানায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। উপজেলার শোলকাটায় অবস্থিত পুরাতন মেডিকেল কে আস্তানা বানিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে এসব অবৈধ কার্যকলাপ পরিচালনা করে আসছে।
স্থানীয়রা এসব অপকর্মের বিরোধিতা করলে তারা প্রকাশ্যে হাঙ্গামা শুরু করে এবং বিরোধীতা কারীদের যেখানেই পাই সেখানেই হামলা করে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সন্ধায় জাবেদ উদ্দিন রিফাত শোলকাটার মোড়ে অবস্থান করলে অভিযুক্তরা তার হাতে থাকা স্মার্ট ফোনটি কেড়ে নেয়।
পরবর্তীতে রিফাত আমার দোকানে এসে স্থানীয়দের (অভিযুক্ত মাদক কারবারিরা) মোবাইল নিয়ে ফেলার বিষয়টি জানালে স্থানীয়রা অভিযুক্ত কামালকে মোবাইলসহ হাতেনাতে ধরে। তার একটু পরই অভিযুক্তরা সবাই দা-চুরি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্থানীয়দের উপর অতর্কিত হামলা করে।
এই ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, একটা বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। উভয় পক্ষ সাথে কথা বলেই পরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।