নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস প্রায় শূন্যের কোটায়। পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘটে স্থবির আমদানি রফতানি বাণিজ্য। ১৭টি আইসিডিতে আটকা পড়েছে রফতানিমুখী প্রায় ১২ হাজার কন্টেইনার।
প্রায় ৪ হাজার টিইইউএস কন্টেইনার বোঝাই রফতানি পণ্য নিয়ে রোববার চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যাবার কথা ছিল এএস সিলসিলা, এক্সপ্রেস লোটসি এবং ব্যাংকক নামে তিনটি ফিডার জাহাজ।
কিন্তু ধর্মঘটের বন্ধ পণ্যপরিবহন, তাই সময় মতো আইসিডি থেকে বন্দরে পৌঁছানো যায়নি প্রায় ১ হাজার ৯শ কন্টেইনার। ফলে আটকে পড়ে জাহাজ তিনটি। ডিপোগুলোতে আটকা পড়েছে জাহাজীকরণের অপেক্ষায় থাকা রফতানি পণ্য বোঝাই আরও ১০ হাজারের বেশি কন্টেইনার। যার বেশিরভাগই পোশাকখাতের বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ।
শুধু রফতানি পণ্য নয়, আমদানি পণ্য বোঝাই কন্টেইনারের স্তুপও জমতে শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। রোববার পর্যন্ত তিন দিনে খালাস হয়েছে হয়েছে মাত্র ৪২২ টিইইউএস কন্টেইনার। চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক জানালেন, স্বাভাবিক সময়ে যেখানে একদিনেই খালাস হয় ৪ থেকে ৫ হাজার।
গেলো সেপ্টেম্বরে পণ্য পরিবহণ শ্রমিকদের ডাকা ২ দিনের ধর্মঘটেও স্থবির ছিল চট্টগ্রাম বন্দর। বারবার এমন ধর্মঘটে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ছে বলছেন, এফবিসিসিআইয়ের নির্বাহী সদস্য মাহফুজুল হক শাহ।
ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে বাড়ছে জাহাজের গড় অবস্থানকালও।