বান্দরবান রোয়াংছড়ির তুলাছড়ি পাড়ায় নওমুসলিম ওমর ফারুককে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যার প্রতিবাদে বান্দরবানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে । আজ রবিবার (২০ জুন) পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এই কর্মসূচি পালন করে। হত্যাকাণ্ডে জেএসএস জড়িত দাবি করে সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।
এসময় বক্তারা বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামকে ইহুদি রাষ্ট্র করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এজন্য অস্ত্র, অর্থ দিচ্ছে কিছু রাষ্ট্র। এছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মিজোরামে ছয়টি ট্রেনিং সেন্টারে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে আমাদের পাহাড়ে পাঠানো হচ্ছে। অন্যদিকে সন্তু লারমা পার্বত্য চট্টগ্রামকে জুম্মল্যান্ড ঘোষণা করেছে। এই অবস্থায় শান্তিচুক্তির সাংঘর্ষিক ধারা বাতিল, সন্তু লারমার ফাঁসির দাবি জানানো হয়।
এর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সভাপতি কাজী মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে উম্মুক্ত মঞ্চ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে একই স্থানে এসে মানববন্ধনে মিলিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ জেলা সভাপতি কাজী মজিবর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আলহাজ্ব মো. তারুমিয়া, সহ সভাপতি মাও. মো. আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবছার, ছাত্রনেতা মো. মিজানুর রহমান আখন্দসহ জেলা-উপজেলা, পৌরসভা ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ।প্রসঙ্গত, বেরনচন্দ্র ত্রিপুরা বেশ কিছুদিন আগে খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে ওমর ফারুক নাম ধারণ করে এবং তুলাছড়ি পাড়ায় মসজিদের ঈমাম এর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।