বারো আউলিয়ার অন্যতম হযরত শাহ মোহছেন আউলিয়া (র.) এর বার্ষিক ওরশ আজ রবিবার আনোয়ারা উপজেলার বটতলী মাজার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় গতবারের ন্যায় এইবারও বড় ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া হযরত শাহ মোহছেন আউলিয়ার (রহ.) বার্ষিক ওরশ আনোয়ারা উপজেলার বটতলীস্থ মাজার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শুক্রবার দুপুরে মাজার কমিটির পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল ছাড়া আর কোন কর্মসূচি রাখা হয়নি বলে জানান মাজার পরিচালনা কমিটির যুগ্ম মতোয়াল্লী মাস্টার এসএম জহিরুল ইসলাম।
তিনি জানান সরকারের স্বাস্থ্য বিধি মেনে দেশের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত বছরের মতো এ বছরও বড় ধরনের কোন আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই ওরশ পালিত হবে। ওরশ উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে মাজারের সংরক্ষিত এলাকায় কোন ধরনের পশু জবাই না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা যায়, প্রতি বঙ্গাব্দের ৬ আষাঢ় ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য্যে হযরত শাহ মোহছেন আউলিয়া (র.) এর বার্ষিক ওরশ পালিত হয়। লাখো ভক্তের উপস্থিতিতে মাজার এলাকা মুখরিত হতো। মিলাদ, যিকির, আখেরি মুনাজাত ও তবারুক বিতরণের মধ্যদিয়ে ভক্তরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতেন।
কথিত আছে হযরত বাবা বদর আউলিয়া ও বাবা হযরত শাহ মোহছেন আউলিয়া (রহ.) একসাথে চট্টগ্রামে আগমন করেছিলেন। আধ্যাত্মিক রূহানিয়াতের মধ্যে মামা ভাগিনার এক গভীর সম্পর্ক রয়েছে। রুহানিয়তের সফরে মামা ভাগিনার সফর সেই আদিকাল থেকে প্রচলিত।হযরত মুসা (আ.) হযরত খিজির (আ.) এর নিকট তরিকতের সফরে যাওয়ার সময় তার ভাগ্নে হযরত ইউসা ইবনে নুহ (আ.) ছিলেন। এভাবে রুহানিয়তের ধারা প্রচলিত রয়েছে।হযরত বাবা মোহছেন আউলিয়া (রহ.) তাঁর মামা হযরত বদর আউলিয়া (রহ.)’র পিছনে সাগর পথে রওয়ানা দিয়াছেন। সেই নদী ও সাগর পথে তাদের বহনকারী কিস্তি বা জাহাজ আর কিছু নয় বরং তাদের ব্যবহৃত পাথর ছিল যা বর্তমানে তাদের মাজার শরীফে বিদ্যমান আছে। মাহাবুবে রব্বানী গাউছে ছমদানি হযরত শাহসূফি ছৈয়দ বাবা মোহছেন আউলিয়া (রহ.) ৮৮৬ হিজরী ৭২ বাংলা ১৪৬৬ সনে ১২ রবিউল আউয়াল জন্ম গ্রহণ করেন।