করোনার বিস্তার ঠেকাতে একসপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে বগুড়ায়। তবে ওষুধের দোকান, কাঁচাবাজার এবং চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলো চালু থাকবে। খাবারের দোকান এবং হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খাবার সরবরাহ করতে পারবে। বাসসহ অন্যান্য যানবাহন বগুড়া শহর ছেড়ে যাবে না এবং বগুড়ায় প্রবেশ করবে না।
আজ শনিবার (১৯ জুন) এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামীকাল থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে বগুড়া জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত অনুসারে, শনিবার রাত ১২টার পর থেকে আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত লকডাউন থাকবে। এই সময় পৌর এলাকাসহ পুরো উপজেলায় সব ধরনের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, শপিংমল ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে। তবে ওষুধের দোকান, কাঁচাবাজার এবং চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলো চালু থাকবে। খাবারের দোকান এবং হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খাবার সরবরাহ করতে পারবে। বাসসহ অন্যান্য যানবাহন বগুড়া শহর ছেড়ে যাবে না এবং বগুড়ায় প্রবেশ করবে না।
তবে দূরপাল্লার বাস মহাসড়ক ব্যবহার করতে পারবে। জরুরি সেবাদানকারী পরিবহন যেমন অ্যাম্বুলেন্স, খাদ্যদ্রব্য সরবরাহকারী পরিবহন ও চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত পরিবহন এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। সামাজিক, ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক অনুষ্ঠানসহ গণজমায়েত হয় এমন সব অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। শহরের সাপ্তাহিক-বাজার, চায়ের দোকান, পর্যটন স্থল, কমিউনিটি সেন্টার বন্ধ থাকবে। শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। সরকারের রাজস্ব আদায়ে যুক্ত প্রতিষ্ঠান-দপ্তর এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
এ বিষয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক বলেন, উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেড়ে গেছে। পাশাপাশি বগুড়ার সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলগুলোতে এ হার অনেক বেশি। গত তিন দিনে বগুড়ায় ১১ জন মারা গেছেন। করোনা শনাক্তের হার অনেক বেড়ে গেছে তাই নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করা হলো।
এর আগে গত ৬ জুন করোনা সংক্রমণ রোধে জেলা প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বগুড়ায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর দোকানপাট বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়।