প্রয়োজনে সিআরবিতে রক্তের বন্যা বইবে, তবু সিআরবিকে কোন বেনিয়া গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেবো না। চট্টগ্রামের মানুষকে রক্তচক্ষু দেখিয়ে লাভ হবে না। বৃটিশ আমল থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়ে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা পর্যন্ত চট্টগ্রামবাসী রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেই রাজপথে নেমেছে, আন্দোলন করেছে, বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।
সিঅঅরবি বাঁচাও আন্দোলনেও জিতবে চট্টগ্রামের মানুষ। কারণ সিআরবি চট্টগ্রামবাসীর ফুসফুস। এ ফুসফুসকে ধ্বংস করে ০.৫ % রোগীর জন্য হাসপাতাল নির্মাণ করতে দেবো না আমরা। এ দাবি আদায়ে আমরা বদ্ধ পরিকর।
এ লক্ষ্যে আমরা অবিচল। মুক্তিযুদ্ধের সময় যেমন দেশ স্বাধীন করার জন্য গুটিকয়েক রাজাকার আলবদর বাদে আপামর জনগণ স্বাধীনতার পক্ষে সংগ্রাম করেছিল, একই ভাবে সিআরবি রক্ষার আন্দোলনেও গুটি কয়েক রাজাকারের জন্ম হয়েছে, যারা চট্টগ্রামের মানুষের প্রাণের দাবিকে উপেক্ষা করে সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের হীণ চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।
আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, জনগণ যখন জেগে উঠে, তখন সকল প্রতিরোধ বালির বাঁধের মতো ভেসে যায়। একই ভাবে সিআরবি রক্ষার আন্দোলনে জনতার জোয়ারের কাছে হাসপাতাল নির্মাণের নামে পুরো সিআরবিকে গ্রাস করতে ষড়যন্ত্রকারী চক্রের পতন এ চট্টগ্রামের মাটিতেই হবে। গতকাল নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত ধারাবাহিক অবস্থান কর্মসূচি উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে বক্তাগণ এ কথা বলেন।
নাগরিক সমাজ,চট্টগ্রামের কো চেয়ারম্যান বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুচের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি ডা. সরফরাজ খান বাবুল।
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কবি হোসাইন কবির, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সভাপতি জসিমউদ্দিন চৌধুরী, নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের যুগ্ম সচিব সংস্কৃতি কর্মী স্বপন মজুমদার, কবি ও সাংবাদিক ঋত্বিক নয়ন, নারী নেত্রী হাসিনা আক্তার টুনু, যুবলীগ নেতা জয় শংকর সরকার, মো. অঅবছার চৌধুরী, প্রভাষক মিনু মিত্র, এডভোকেট রাশেদুল আলম রাশেদ, ছাত্রলীগ নেতা মোর্মেদুল আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ শওকত, মায়মুন উদ্দীন মামুন, জাহেদ অভি, বশিরউল্লাহ লিটন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নারায়ণ চন্দ্র দাশ প্রমুখ।
















