বীর মুক্তিযোদ্ধা, ৭৫’র পরবর্তী বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য জামাল আহমদ আর নেই। তিনি গতকাল দিবাগত রাত ১২ টা ১৫ মিনিটে নগরীর মেহেদীবাগস্থ ম্যাক্স হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি……….রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে সহ, আত্মীয় স্বজন ও অগণিত সতীর্থ রাজনীতিক রেখে গেছেন। আজ বেলা ১১টায় লালদীঘির মাঠে প্রথম জানাযা, বাকলিয়া দ্বিতীয় জানাযা ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জামাল আহমদ এর মৃত্যুতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবার্তায় তাঁরা বলেছেন, প্রয়াত জামাল আহমদ বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক সৈনিক হিসেবে একজন রাজপথের সাহসী যোদ্ধা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড পরবর্তী এক দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধের স্পৃহায় গর্জে উঠেছিলেন।
আমৃত্যু তিনি সংগঠনের জন্য একজন নিবেদিত প্রাণ রাজনীতিক হিসেবে সকলের সম্মান ও সমীহ অর্জন করেন। তাঁর মৃত্যুতে সংগঠন, সমাজ ও রাজনৈতিক অঙ্গনে অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হল। শোকবার্তায় মরহুম জামাল আহমদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
জানাযায় উপস্থিত ছিলেন জামাল আহমদ এর মৃত্যুতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুর, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, উপদেষ্টা আলহাজ্ব শফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোামান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আইন বিষয়ক সম্পাদক শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য বখতিয়ার উদ্দিন খান, হাজী বেলাল আহমদ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক সহ থানা, ওয়ার্ড ও সহযোগী সংগঠনের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ জানাযায় উপস্থিত ছিলেন।
















