ভাষা সৈনিক ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক উপ-পরিচালক ও প্যাথলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডাঃ এ.জে.এম শামসুদ্দিন চৌধুরী আর নেই।
চট্টগ্রাম জামালখান এলাকার বাসিন্দা ও উত্তর মাদার্শার কৃতিসন্তান ডাঃ শামসুদ্দিন চৌধুরী ২৫শে জুলাই রাত ১১ টা ১৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র, পুত্রবধূ, কন্যা, জামাতা সহ ৪ নাতি-নাতনি ও অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর স্ত্রী জনাব নিলুফার শামসুদ্দিন চট্টগ্রাম মহিলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপিকা ও লেখিকা ছিলেন।
নোবেল বিজয়ী ডঃ মোহাম্মদ ইউনূসের সতীর্থ ডা. শামসুদ্দিন ১৯৫৫ সালে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে চট্টগ্রাম কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস পাশ করেন।
তিনি ছিলেন একজন দেশপ্রেমী ভাষাবিদ। ১৯৫২ সালের ২২ শে ফেব্রুয়ারি তিনি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের বেশকিছু ছাত্রসহ চট্টগ্রাম লালদীঘি মাঠে প্রথম চট্টগ্রাম থেকে ভাষা আন্দোলনে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞের জন্য প্রতিবাদ জানায় ও মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। পেশাগত জীবনে তিনি একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক ছিলেন।
তিনি ছিলেন অত্যন্ত পরোপকারী একজন মানুষ, যিনি নিজের পকেট থেকে গাড়ি ভাড়া খরচ করে রোগী দেখতে যেতেন। আত্মীয়-স্বজন বা পরিচিতজনদের কাছ থেকে কখনো ভিজিট নিতেন না।
তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ডেপুটি ডিরেক্টর ও প্যাথলজি বিভাগের প্রধান ছিলেন। পরিবারের সকলে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের জামাল খান বাইলেইনের শতদল ক্লাবের সামনে একদফা এবং পরে হাটহাজারী উত্তর মার্দাশা এলাকায় দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজার চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
















