চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বিগত বছরগুলোতে কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণের সুনাম চসিকের রয়েছে। আপনাদের সকলের আন্তরিকতার কারণে এই সুনাম অর্জিত হয়েছে। আমি চাই এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক।
কোরবানীর পশু জবাইয়ের পর ৮ থেকে ১০ ঘন্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের লক্ষ নিয়ে কাজ করতে হবে। এতে পর্যাপ্ত জনবল, ওয়াকি টকি, গাড়ি, কন্টেইনার মোভার ও টমটম গাড়িসহ যা-যা প্রয়োজন সবধরণের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে কোন অযুহাত আমি শুনবনা।
আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পুরাতন নগর ভবনের কে.বি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, মো. শফিকুল ইসলাম, হাসান মুরাদ বিপ্লব, আবদুল বারেক, অধ্যাপক মো. ইসমাইল, মো. মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, এসরারুল হক, মো. ইলিয়াছ, ও চসিক উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী।
মেয়র বলেন, নগরীর কোন মহল্লায় কতো পশু জবাই হচ্ছে তার সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে সে অনুপাতে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের ভাগ করা হবে। ডোর টু ডোর কর্মীগণ দ্রুততার সাথে জবাইকৃত পশুর ময়লা-আবর্জনা খড়কুটাসহ সংগ্রহ করে রক্ত ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিবে যাতে পরিবেশ দুর্গন্ধমুক্ত থাকে।
এ বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে তদারকি করতে হবে। তিনি আরো বলেন, দ্রুত বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ঈদের দিন চসিক দামপাড়া অফিসে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে।
যার নম্বর ৬৩০৭৩৯ ও ৬৩৩৬৪৯। নগরীর কোথাও ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখলে কন্ট্রোল রুমে জানালে দ্রুত তা অপসারণ করা হবে। মেয়র জবাইকৃত পশুর চামড়া বিক্রি না হলে তা যত্রতত্র ফেলে না রেখে প্রত্যেক মহল্লায় নির্দিষ্ট একটি স্থানে রাখার আহ্বানও জানান।
















