চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘আগামী ২০২৬ সালের নির্বাচনে জনগণ ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে বিএনপিকে আবারও ক্ষমতায় আনবে। তারেক রহমান জিয়া পরিবারের উত্তরসূরী হিসেবে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হবেন। জনগণ বিজয়ের মালা পড়িয়ে তাকে প্রধানমন্ত্রী করবে। এ আশায় আমরা বুক বেঁধে আছি।’
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে নগরীর কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিক দল যুব কমিটির আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহাদাত আরও বলেন, ‘প্রয়াত জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার পরে খালেদা জিয়া চাইলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানকে নিয়ে ঘরে বসে সংসার জীবন চালিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। যখন দেখলেন স্বৈরাচারী এরশাদ মানুষকে পেটাচ্ছে, নির্যাতন করছে, গণতন্ত্রকে অবদমিত করছে ও লুন্ঠন করছে তখন তিনি রাজপথে নেমে আসেন।’
‘খালেদা জিয়া জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে শক্তিশালী করেছেন এবং প্রতিটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের নিরঙ্কুশ বিজয়ের মাধ্যমে রাজপথের আন্দোলনকে জোরদার করেছিলেন। আপোষহীন নেতৃত্বের কারণে এরশাদ বেশি দিন টিকে থাকতে পারেননি। অথচ শেখ হাসিনা বারবার এরশাদের সাথে আঁতাত করেছেন। ১৯৮৬ সালে শেখ হাসিনা এরশাদের সাথে নির্বাচনে গেলেও ১৯৮৮ সালে আর পারেননি খালেদা জিয়ার অদম্য নেতৃত্বের কারণে ‘
শাহাদাত হোসন বলেন, ‘১৯৯১ সালের সবচেয়ে গণতান্ত্রিক নির্বাচনে দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অধিষ্ঠিত করেছিলেন। এরপর নানা ষড়যন্ত্র হলেও তিনি জনগণের পাশে ছিলেন। ২০০১-২০০৬ সালে মাইনাস টু ফর্মুলার চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু শেখ হাসিনা তখন দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন, অথচ আমাদের নেত্রী দেশের মানুষের পাশে ছিলেন।’
‘গত ১৬ বছরে অমানবিক নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মৌলিক অধিকার খর্ব হয়েছে। তবুও তারেক রহমান বিদেশে থেকেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ দেশের ১৬ কোটি মানুষকে সংগঠিত করেছেন। জুলাই আগস্টের আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রজনতাকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রেও তিনি বড় ভূমিকা রেখেছেন।’
মহানগর শ্রমিক দল যুব কমিটির সভাপতি হাসিবুর রহমান বিপ্লবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দীন এবং নির্মাণ শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মিটু ইসলামের পরিচালনায় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, বিভাগীয় শ্রমিক দলের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।
বক্তব্য দেন বিভাগীয় শ্রমিক দলের সদস্য অপু সিংহ, মহানগর যুব কমিটি সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল হোসেন, সহ-সভাপতি মো. পারভেজ, আজিজ মিয়া, লাকি আক্তার, মো. শহীদুল্লাহ, মো. শাহজান, আব্দুর রহমান, রেজাউল করিম, যুগ্ম সম্পাদক এরশাদ মাহমুদ বাপ্পি, হাজেরা বেগম তানিয়া, জামাল হোসেন, সহ-সম্পাদক মুরাদ হোসেন, মো. মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান রুবেল, দপ্তর সম্পাদক সোহাগ হোসেন, প্রচার সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আলভী, মহিলা সম্পাদিকা জান্নাতুল ফেরদৌস রুবি, অর্থ সম্পাদক রমজান আলী, ধর্ম সম্পাদক মো. সুমন, সদস্য মো. কাশেম।