চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘গণতন্ত্র পুন:রুদ্ধারের জন্য বিএনপি বার বার লড়াই করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করে না। জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য রাজনীতি করে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের একমাত্র উপাদান হলো নির্বাচন। বিএনপির জন্মই হয়েছে, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য।দেশে যত সংস্কার হয়েছে সব বিএনপি করেছে। বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি চায় না। বিএনপি সব গণতন্ত্রকামী মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দেশ গঠন করতে চায়। তাই নেতাকর্মীদের জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণের মতামত নিতে হবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র বিএনপির হাতেই নিরাপদ। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীতে ভোটের অধিকার রক্ষার সংগ্রামে বিএনপি জনগণের রায় নিয়েই ক্ষমতায় আসবে।’
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোড়ের মৌসুমী আবাসিক মাঠে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বাকলিয়া, চকবাজার, ও কোতোয়ালি থানা যুবদলের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনুষ্ঠানে শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকালীন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খালেদা জিয়া দেশের মানুষের পাশে থেকেছেন। তিনি কখনো আপোষ করেননি। জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, এমনকি জেল খেটেছেন, কিন্তু জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার আন্দোলন থেকে একচুলও পিছিয়ে আসেননি। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি সাহসিকতার সাথে জনগণকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তার আপোষহীন ভূমিকার কারণেই বিএনপি জনগণের আস্থা অর্জন করে ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসে। গত ১৬ বছরে একমাত্র নেত্রী যাকে জোরপূর্বক জেলে প্রেরণ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘২০০৭ সালের এক এগারোর সময় যখন শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন, তখন খালেদা জিয়া স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশের মানুষকে ফেলে বিদেশে যাব না। তার আপোষহীন অবস্থানের কারণেই বিদেশি মহল চাপ সৃষ্টি করেও মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। গত ১৬ বছর এত নির্যাতনের পরও খালেদা জিয়া দেশ ছাড়েননি কিন্তু স্বৈরশাসক হাসিনা ঠিকই পালিয়েছে।’
বাকলিয়া থানা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন লেদুর সভাপতিত্বে ও যুবদল নেতা মো. সেলিম, মো. হাসান ও মো. সোহেলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। বিশেষ আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরীর লিটন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিন মাহমুদ, মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাছিম, সহ-অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক মিন্টু, বাগমনিরাম ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ফয়েজ, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম ডিউক, বিএনপির নেতা খোরশেদ আলম, মহানগর যুবদলের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন, সহ-সমবায় সম্পাদক ইদ্রিস সবুজ, সহ-প্রযুক্তি সম্পাদক শেখ কামাল আলম, মনসুর সওদাগর, সদস্য সাব্বির ইসলাম ফারুক, কোতোয়ালি থানা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবদুল জলিল, মহানগর যুবদল নেতা আমিনুল্লাহ, জাবেদুল হক, বাকলিয়া থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব মো. মুসা, যুবদল নেতা জাকির হোসেন, আবদুল মালেক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহসিন কবির আপেল, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন কাদের আসাদ, মো. আনাছ, বাকলিয়া থানা মহিলা দলের সভাপতি রিজিয়া বেগম মুন্নী, সাধারণ সম্পাদিকা কামরুন্নেছা, নাসরিন আক্তার, নাজমা আক্তার, যুবদল নেতা সাদ্দামুল হক সাদ্দাম, সফিউল বসর সাজু, মো. বাবুল, মো. জাহেদ, রহিম মিনু।