চট্টগ্রাম: ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ ১৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
গেল মঙ্গলবার (১৭ জুন) সিটির খুলশী থানায় মামলাটি করেন সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ এমদাদ।
তিনি ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও চট্টগ্রাম সিটির পাঁচলাইশ থানাধীন আল আমিন হাউজিং সোসাইটির বর্তমান বাসিন্দা এবং সন্দ্বীপ উপজেলার হারামিয়া ইউনিয়নের মো. বেলালের পুত্র।
অন্য আসামিরা হলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক সাংসদ এমএ মোতালেব, নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দীন নদভী ও এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এবং তার ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এবং এম মনজুর আলম, সাবেক কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী, শৈবাল দাশ সুমন, বিজয় কিষাণ চৌধুরী ও মোবারক আলী, জাতীয় পার্টির নেতা সোলায়মান আলম শেঠ, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি সুকুমার চৌধুরী, হামীম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক সাংসদ একে আজাদ, পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুফি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ও তার ছেলে আমির হোসেন সোহেল, ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও আকতার পারভেজ চৌধুরী, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম ও তার মেয়ে রাইসা মাহবুব এবং জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল, একুশে টেলিভিশন চট্টগ্রামের সাবেক আবাসিক সম্পাদক রফিকুল বাহার, দৈনিক আমাদের সময়ের ব্যুরো প্রধান হামিদ উল্লাহ, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মো. মহিউদ্দিন এবং ডিবিসি টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান মাসুদুল হক।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সিটির চট্টগ্রাম ওয়াসা মোড়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা হত্যার উদ্দেশ্যে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি বর্ষণ করে। এতে ছররা গুলি মাথায়, পায়ে, মুখে ও চোখে লেগে আহত হন এমদাদ। চট্টগ্রাম ও ঢাকায় চিকিৎসা করার পরও তার ডান চোখে দৃষ্টি ফিরেনি।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন জানান, মামলাটি পুলিশ তদন্ত করে দেখবে।
















