চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর শাহাজাহান চৌধুরী বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরকে প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নতিকরণ আমরা চাই। সিঙ্গাপুর হোক সেটাও চাই। তবে, দেশের স্বার্থ কারো কাছে বিকিয়ে দিয়ে বন্দর নিয়ে কোনো পদক্ষেপ চাই না বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী।’
শনিবার (১৭ মে) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে মহানগর জামায়াতের ইসলামীর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে সভায় শাহাজাহান চৌধুরী আরো বলেন, ‘দীর্ঘ দিন আওয়ামী লীগ দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছিল। তাই বিক্ষুদ্ধ জনতার আন্দোলনের মুখে তারা পালাতে বাধ্য হয়েছে। তারা জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে তথ্য সন্ত্রাস চালিয়েছিল। খুন, সন্ত্রাস ও মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলো আজ নিষিদ্ধ হয়েছে। তাই আমাদেরকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে আওয়ামী স্বৈরাচারের চরম জুলুম, নির্যাতন, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও বঞ্চনার শিকার হয়েছে দেশবাসী। ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মুখে এই স্বৈরাচার উৎখাত হয়েছে।এই বিজয় অর্জনে অগণিত ছাত্র-ছাত্রীকে জীবন দিতে হয়েছে। একই সাথে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে অসংখ্য নারী, শিশু, শ্রমিকসহ সর্বস্তরের মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। অগণিত মানুষের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয় পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন- এ জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। এই জন্য দেশবাসীকে ও চট্টগ্রাম নগরবাসীকে অভিনন্দন- শুভেচ্ছা জানাই।’
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে জুলাই শহীদ স্মৃতি হলে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্বে করেন ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি।
সভায় দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি মুহাম্মদ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ, চট্টগ্রাম মহানগরীর জামায়াতের অ্যাসিট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ ও মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জামান হেলালি, একেএম ফজলুল হক, সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম, মুস্তফা নঈম ও মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ চৌধুরী।
সাংবাদিক সোহাগ বিশ্বাসের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শিল্পী, হাসান ফেরদৌস, মুহাম্মদ আরিফ, শহীদুল ইসলাম, গোলাম মাওলা মুরাদ, নুরুদ্দিন আহমদ ও নাজিম উদ্দীন মজুমদার।