চট্টগ্রাম: গাজীপুরে হাসনাত আবদুল্লাহ ও তাকে বহন করা গাড়িতে হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চট্টগ্রাম।
সোমবার (৫ মে) সন্ধ্যায় নগরীর ষোলশহর থেকে মশাল মিছিল শুরু করে দুই নাম্বার গেইটে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করে এনসিপি।
সমাবেশে ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব সাগুপ্তা বুশরা মিশমা, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক জুবাইরুল হাসান আরিফ, মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ, কেন্দ্রীয় সদস্য নিলা আফরোজ ও জোবায়েরুল মানিক, শ্রমিক উইং কেন্দ্রীয় সদস্য ফারুক আহমেদ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘হাসনাত আবদুল্লাহর উপরে এই যে টার্গেট করে যে হামলা হচ্ছে, এগুলো বাংলাদেশে নতুন কোন কিছু নয়। যারা টার্গেট করে হামলা করছে, তাদের বলে দিতে চাই, আমরা জুলাই আন্দোলনের সময়েই ঘোষণা দিয়েছি যে, উই আর শহীদ। যারা নিজেদের শহীদ ঘোষণা দিয়েছে তাদের মারা কিছু নাই। তবে এই যে যারা টার্গেট করে করে হামলা করছে, যারা মার্ডার করছে তাদেরকে কিন্তু ছাড় দেয়া যায় না। আমরা পুলিশ ভাইদের বলতে চাই, আপনারা শুধু মিটিং মিছিলে প্রটেকশন দিতে আসবেন না। আপনারা আমাদের প্রয়োজন ঠিক তখন যখন আমাদের উপর হামলা হয়। তখন আপনাদেরকে কল দিল আমরা পায় না। আমাদে কে এই হামলা দিয়ে দমানো সম্ভব না।’
ইমন সৈয়দ বলেন, ‘এ হামলা নতুন নয়। এর আগেও হাসনাত ও সারজিসের উপর হামলা হয়। কিন্তু তখনও কোন ধরনের কোন পদক্ষেপ নেয়া হয় নি। তাই আজকে আবারো এই নেক্কারজনক ঘটনা।’
জোবায়েরুল হাসান আরিফ বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা একটি আমূল সংস্কার চাচ্ছি। এই আমূল সংস্কার যারা চাচ্ছে, এর ভিতর আমাদের অন্যতম নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। এই হাসনাত আবদুল্লাহর উপর হামলা হওয়া মানে, যে আমূল সংস্কার আমাদের প্রস্তাবনা ঐ আমূল সংস্কারের উপর হামলা। এইটা একভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপর হামলা। কিন্তু আমি মনে করি, অন্তর্বর্তী সরকারের চামড়া বতা হয়ে গিয়েছে। আমরা বলতে চাই, ইন্টেরিম আপনি আপনার চামড়ার খোঁজ খবর নেন। আপনি আপনার অস্তিত্ব নিয়ে নিজেই সন্দিহান। আপনি বুঝতেছেন না যে, কার উপর আপনার নিয়ন্ত্রণ আছে, কার উপর নিয়ন্ত্রণ নাই।’