চট্টগ্রাম: আজ ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির এক যুগ পূর্তি। ২০১৩ সালের এই দিনে ঢাকার সাভারের রানা প্লাজা ভবন ধসে প্রাণ হারান অন্তত ১ হাজার ১৭৫ জন গার্মেন্টস শ্রমিক এবং আহত হন দুই হাজারেরও বেশি শ্রমিক, যাদের অনেকেই আজও শারীরিক ও মানসিকভাবে পঙ্গুত্ব বয়ে বেড়াচ্ছেন। এটি ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে স্বীকৃত, যা বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাতের অমানবিক বাস্তবতা ও শ্রমিক নিরাপত্তার সংকটকে বিশ্ব দরবারে উন্মোচন করেছিল।
এই দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে পোশাক হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. হানিফের সভাপতিত্বে এবং টিইউসির সংগঠক ফজলুল কবির মিন্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশ।
এতে বক্তব্য পাহাড়তলি আঞ্চলিক কমিটির সাধারন সম্পাদক সুকান্ত দত্ত, বেসরকারী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রহিম ও সাধারণ সম্পাদক মো. মিজান, কমিউনিটি সেন্টার ও ডেকোরেশন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. পারভেজ, নারী শ্রমিকনেতা দিপ্তি রানী সরকার ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলার সাধারB সম্পাদক মো. হানিফ, হালকা মোটর যান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা মো. শামসুল ইসলাম আরজু।
সমাবেশে বলা হয়, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, আজ এক যুগ পার হয়ে গেলেও এই ভয়াবহ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি। বিচারহীনতার এ সংস্কৃতি শ্রমিকদের জন্য এক গভীর হতাশার নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন, যারা জীবনভর পঙ্গু অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন, তাদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন ও চিকিৎসা সুবিধাও এখনো সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত হয়নি।’
বক্তারা বলেন, ‘অবিলম্বে রানা প্লাাজা ট্র্যাজেডির দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে; নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ও আহত শ্রমিকদের পূর্ণ ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সাথে দেশের সব গার্মেন্টস কারখানাসহ সব সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।’