চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি এসএম লুৎফর রহমান বলেছেন, ‘আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা ছাড়া ঈদের আনন্দ খুশি মেহনতি শ্রমজীবী মানুষের ঘরে পৌঁছাবে না। ঈদের আনন্দ অনুভব করা যাবে না।’
সোমবার (১২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মহানগরের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও অর্থসহ কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়ার্ড সভাপতি সানাউল্লাহ আজমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ১১ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনিত প্রার্থী শফিউল আলম, শ্রমিক কল্যাণ বন্দর থানা সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম আদনান।
উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শ্রমিক সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াসিন, শ্রমিক নেতা রফিকুল ইসলাম, মনির উদ্দিন বাপ্পী, শ্রমিক নেতা আজিম উদ্দিন, মঞ্জুর হোসাইন, মহিব্বুল্লাহ রাসেল ও নুরুল ইসলাম বাপ্পি প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনুষ্ঠানে এসএম লুৎফর রহমান আরো বলেন, ‘ঈদের আনন্দ ধনী গরিবের জন্য সমান। ইসলাম ধনী গরিবের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে না। ধনাঢ্য ব্যক্তি ও নিঃস্ব ব্যক্তি একই কাতারে নামাজ আদায় করতে পারে। একে অপরের সাথে কোলাকুলি করতে পারে। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘তবে যেহেতু দেশের শাসন ব্যবস্থা খোলাফায়ে রাশেদার অনুরূপ নয় এবং শাসকরা ইসলামী অনুশাসন মেনে চলেন না, তাই এ দেশে ধনী গরিবের মাঝে একটি অদৃশ্য দেয়াল সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এই দেয়াল ভেঙে দিতে চাই। আমরা কৃষক, মজুর শ্রমিক ও মালিক একইভাবে জীবনযাপন করবে। যার যার কর্ম অনুযায়ী তার প্রাপ্য বুঝে পাবে। কোন বিভেদ ও শোষণ এই সমাজে থাকবে না।’
মুজাহিদুল ইসলাম আদনান বলেন, ‘একটি আদর্শ সমাজ গড়ার পূর্ব শর্ত তার শাসক বা নেতৃত্বকে সেই আদর্শের ধারক বাহক হতে হবে। আমাদের দেশের শাসকরা একদিকে যেমন ভ্রান্ত মতবাদের অনুসারী অপরদিকে তারা উচ্চবিলাসী ও ভোগমত্তে ব্যস্ত। ফলে সমাজে গরিবরা দিন দিন গরিব হচ্ছে। আর শাসকরা অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়ছে। এখন সময় এসেছে এসব শাসকদের কর্তৃত্ব অবসান করার। ভোটের মাধ্যমে সৎ দক্ষ দেশপ্রেমিক ও সর্বোপরি আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আনুগত্যশীল নেতৃত্ব নির্বাচন করার। ইনশাআল্লাহ আগামী শ্রমিক জনতার হাত ধরে একদল সোনার মানুষ দেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরির্বতন আনবে। সেই লক্ষ্যে শ্রমিক ভাইদের প্রতি আহ্বান আপনারা সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখার প্রস্তুতি এখনই গ্রহণ করুন।’