চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) নতুন কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম, বলেছেন, ‘সিটিতে সব ধর্মাবলম্বীরা যাতে নির্বিঘ্নে ও নির্ভয়ে সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারে, সে ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে পুলিশ বদ্ধপরিকর। পুলিশের একার পক্ষে কিছুই কোন কিছু করা সম্ভব নয়। সিটিকে নিরাপদ রাখতে কোন্ কাজটি পূর্বে ও কোন্ কাজটি পরে করতে হবে, সে বিষয়ে পরামর্শ চাই। ফুটপাতে ভাসমান ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পুলিশের নামে চাঁদাবাজি, কিশোর গ্যাং, ইভটিজিং, চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই, মাদক, খুন ও রাহাজানিসহ সব অপরাধ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা বজায় রেখে সিএমপিকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা চাই।’
সোমবার (৮ জুলাই) সকালে সিটির দামপাড়া পুলিশ লাইনের মাল্টিপারপাস শেডে আয়োজিত ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রামের মানুষের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক রয়েছে জানিয়ে মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘২০১২-১৪ সালে সিএমপির বন্দর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার ও পরবর্তী চট্টগ্রাম রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলাম। পুলিশ ও মূল ধারার সাংবাদিকের মধ্যে থাকবে সুসম্পর্ক, কোন গ্যাপ থাকবে না। যে কোন অপরাধের ব্যাপারে থানা পুলিশ সাংবাদিকদের তথ্য দিতে গড়িমসি করলে সরাসরি আমাকে ফোন দেবেন। যে কেউ ফোন দিলে বা অফিসে এসে তাদের সমস্যার কথা জানালে তাৎক্ষণিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। আমার অফিস সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।’
সিএমপির আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে কোন কাজটি হয়েছে, আর কোন কাজটি হয়নি তা পর্যালোচনার জন্য প্রতি তিন মাস পর পর ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানের ঘোষনা দেন নয়া কমিশনার।
সিএমপির কমিশনার বলেন, ‘কোন পুলিশ সদস্য অপকর্ম করলে বা অবৈধ আয়ের মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করলে তার দায়-দায়িত্ব সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নেবে না, তাকেই বহন করতে হবে। এখন থেকে ‘ওপেন হাউজ ডে’ থানায় হবে না, ওয়ার্ড পর্যায়ে হবে। তাহলে জনগণ নির্ভয়ে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারবে। কোন মানুষ নিখোঁজ ও মোবাইল হারানো বা মোবাইল ছিনতাই ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত জিডির হালনাগাদ তথ্য জানতে কাজ শুরু হয়েছে। জিডির দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্য এর জবাবদিহিতা করবে। ছেলে-মেয়ে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার নামে কোথায় যাচ্ছে, কার সঙ্গে মেলামেশা করছে, অসৎ সঙ্গে যাচ্ছে কি না, সে ব্যাপারগুলো পুলিশ দেখবে না, তাদের অভিভাবকদেরকে খোঁজ-খবর রাখতে হবে।’
সাইবার ক্রাইম নিয়ে কাজ করবেন বলে জানান তিনি।
মো. সাইফুল ইসলাম আরো বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটিতে অবৈধ ব্যাটারি রিক্সা ও গ্রাম সিএনজি অটোরিক্সা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ সদস্য যে-ই হোক, কোন ধরনের অপরাধে জড়ালে ছাড় নেই।’
সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আসম মাহতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) আবদুল মান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মাসুদ আহাম্মদ মিটি দ্যা প্রেসে উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা ও সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি তপন কুমার চক্রবর্তী, প্রাক্তন সভাপতি নাজিম উদ্দিন শ্যামল ও প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, সংবাদ সংস্থা এনএনবির চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান রনজিত কুমার শীল মিট দ্যা প্রেসে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
















