চট্টগ্রাম: সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে কর্মক্ষেত্রে অসামান্য অবদান ও শুদ্ধাচার চর্চার স্বীকৃতি দেয়ার অভিপ্রায়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজনে শুদ্ধাচার পুরস্কার-২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠান হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) রাকিব হাসান ও দুই উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সাতজন কর্মকর্তা-কর্মচারী এ সম্মাননায় ভূষিত হন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি চট্টগ্রাম জেলার প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান তাদের প্রত্যেকের হাতে ফুল ও শুদ্ধাচার পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) লুৎফুন নাহার, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএনএম ওয়াসিম ফিরোজ, চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) তানভীর আল নাসীফ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একেএম গোলাম মোর্শেদ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)) সাদি-উর রহিম জাদিদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরওয়ার কামাল ও বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা নির্বাচিত হন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান। উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে সম্মাননা পান সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম রফিকুল ইসলাম ও রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা। এছাড়া জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কর্মচারী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উপ-সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা কানু বিকাশ নন্দী ও অফিস সহায়ক জয় সেন গুপ্ত। উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কর্মচারী নির্বাচিত হয়েছেন মীরসরাই উপজেলা প্রশাসনের সমীর কান্তি চৌধুরী ও কর্ণফুলী উপজেলা প্রশাসনের মোহাম্মদ আবুল কালাম।
বলে রাখা ভাল, শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান (সংশোধন) নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য বিবেচ্য গুণাবলির মধ্যে অন্যতম হল সততা ও নৈতিকতা, সেবাগ্রহীতাদের সেবা প্রদান, পেশাগত দক্ষতা ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, অধস্তন কর্মচারীদের তত্বাবধান ও পরিবীক্ষণ, দলগত কাজে সমন্বয়, সময়ানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলাবোধ, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি, শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তৎপরতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও স্ব-প্রণোদিত উদ্যোগ, উদ্ভাবন ও সংস্কার কার্যক্রমে আগ্রহ, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন ইত্যাদি।
















