চট্টগ্রাম: সীতাকুণ্ড ৪ আসনের সাংসদ এসএম আল মামুন বলেছেন, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে সীতাকুণ্ডের কাঙ্খিত উন্নয়ন কর হবে। দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন থেকে আট লেনে উন্নীত করা প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প। বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের ৯০ শতাংশ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর নির্ভরশীল। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন থেকে আট লেনে উন্নীত না করে ফৌজদারহাট ডিসি পার্ক হতে মীরসরাই বঙ্গবন্ধু ইকোনমিক জোন পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়ক চার লেনে অথবা ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক সীতাকুণ্ড অংশ (বড় দারগাহাট হতে সিটি গেইট পর্যন্ত) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করার আপনাদের দাবি আমি সরকারের উচ্চ মহলে জানাব।’
রোববার (১০ মার্চ) সিটির খুলশী ক্লাব লিমিটেডে সীতাকুণ্ডেররবিভিন্ন শ্রেণী পেশা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সীতাকুণ্ড হেলথ এন্ড এডুকেশন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে ও সীতাকুণ্ড উপজেলা সমাজকল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিনের সঞ্চলনায় এ সভা হয়। সভায় আলোচনায় অংশ নেন ফেনী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মো. ফসিউল আলম, ইউএসটিসির উপাচার্য মো. সোলায়মান, বীরমুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন আহম্মদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপকএ কে এম তফজল হক, চবির এইচআরএম বিভাহেগর চেয়ারম্যান মো. আফতাব উদ্দীন, ইপসার প্রধান নিবার্হী মো. আরিফুর রহমান, চবির উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ওমর ফারুক রাসেল, সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস, হাসান আকবর, মুহাম্মদ আবুল হাসনাত, পলাশ কুমার চৌধুরী ও নাছির উদ্দিন মানিক, আবেদীন আল মামুন, ভবতোষ নাথ, আতিকুল মান্নান জামশেদ, মোরশেদ চৌধুরী।
প্রতিনিধিরা ২৫ দফা দাবি নামা সম্বলিত স্মারকলিপি আল মামুনকে দেন। ২৫ দফার প্রধান প্রধান দাবি হল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন থেকে আট লেনে উন্নীত না করে ফৌজদারহাট ডিসি পার্ক হতে মীরসরাই বঙ্গবন্ধু ইকোনমিক জোন পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়ক চার লেনে অথবা ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক সীতাকুণ্ড অংশ (বড় দারগাহাট হতে সিটি গেইট পর্যন্ত) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করা, সীতাকুণ্ডে সব কলকারকানায় ৫০ শতাংশ স্থানীয় কোটা চাই, শিল্পায়নের নামে সীতাকুণ্ডবাসীর বসতবাড়ি, ফসলী জমি জবর দখল হবে না, মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত সীতাকুণ্ড চাই, যানজট মুক্ত নিরাপদ সড়ক ও পর্যাপ্ত গণপরিবহণ চাই, সীতাকুণ্ডে পর্যটন স্পটগুলোর সরকারী স্বীকৃতি চাই ও সীতাকুণ্ডের কাঙ্খিত উন্নয়ন করতে হবে।
















