নগরের আউটার স্টেডিয়ামে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সপ্তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রপ্তানি মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর)।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাতে মেলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমান। এ সময় চেম্বারের সহ-সভাপতি এএম মাহবুব চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পপতি খলিলুর রহমান বলেন, আমাদের মেলার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশি রফতানি পণ্য প্রদর্শন। পাশাপাশি দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পণ্যসামগ্রীর বাজার সৃষ্টি। যাতে নতুন নতুন পণ্য সম্পর্কে উদ্যোক্তারা জানতে পারেন। নতুন কিছুর সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন, শিখতে পারেন। এক্ষেত্রে আমাদের মেলা শতভাগ সফল।
তিনি বলেন, মেট্রোপলিটন চেম্বারের নিজস্ব ভবন তৈরির কাজ শুরু করেছি নগরের বায়েজিদে। ইতিমধ্যে আগ্রাবাদে একটি নতুন কার্যালয়ও নেওয়া হয়েছে। দেশের শিল্পায়ন, অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে এ চেম্বার দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
তিনি সরকারের প্রতি ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও বাণিজ্যমেলার জন্য একটি স্থায়ী জায়গা বরাদ্দের দাবি জানান।
এএম মাহবুব চৌধুরী বলেন, বৃষ্টির কারণে প্রথম দিকে একটু বিঘ্ন সৃষ্টি হলেও শেষের ১৫ দিন মেলা ছিল জমজমাট। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল তিনটায় আমরা সমাপনী অনুষ্ঠান করবো। প্রধান অতিথি থাকবেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। সন্ধ্যায় প্রবেশ টিকিটের ওপর র্যাফেল ড্রয়ের পুরস্কার হিসেবে মোটরসাইকেল দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, চেম্বারের মূল কাজ হচ্ছে দেশের শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ। চট্টগ্রাম থেকে থাইল্যান্ড সিঙ্গাপুর রুটে ফ্লাইট চালু, ডলার সংকট নিরসনে আমরা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি।
প্রায় ৮৫ হাজার বর্গফুট এলাকাজুড়ে মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবার। এতে ৬টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, শিশুদের জন্য কিডস জোন ছাড়াও ২০০ স্টল রয়েছে।
সিবার্তা/কেকে