স্টাফ রিপোর্টার :
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ভোট হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গ্রামের হোটেল, রেস্তোরাঁ ও চায়ের দোকানগুলো জমে উঠেছে। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে চলছে নির্বাচনী সভা। সভার পাশাপাশি প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছেন। ভোটারদের মন পেতে নানান প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রার্থীরা।
প্রতিদিন পুরো উপজেলায় রাতে কিংবা দিনে ১৫/২০টি উঠান বৈঠক ও সভা সমাবেশ করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। থেমে নেই স্ব স্ব ইউনিয়নের মেম্বার ও মহিলা মেম্বার প্রার্থীরাও।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চার ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত ৪ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ১ জন, ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন ৭ জন। তার মধ্যে বড়উঠান ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলের প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন যার ফলে ওই ইউনিয়নে আ.লীগের প্রার্থী দিদারুল আলম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে জুলধা ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান হাজী নুরুল হক ভোটারদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাচ্ছেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ কিছুই হয়নি। চুরি, ডাকাতি বেড়েই চলছে । আমি যখন চেয়ারম্যান ছিলাম তখন ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলার চেষ্টা করেছি। জনগন গত ৫ বছরে বুঝতে পেরেছে তাদের ভুল। জনগণের পাশে থাকার জন্যই আমি আবার প্রার্থী হয়েছি। জনগণ নির্বাচিত করলে ইনশাআল্লাহ আবার মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলব। নির্বাচিত হলে তিনি বাল্যবিবাহমুক্ত ইউনিয়ন গড়বেন। সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে যৌতুক ও নারী নির্যাতন বন্ধেরও প্রতিশ্রতি দেন তিনি।
জুলধা ইউনিয়নের আ.লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী নুরুল হক চৌধুরী।
শিকলবাহা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আবদুল করিম ফোরকান বলেন, ‘দলীয় ভাবে আমাকে একটি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বটা হলো ইউনিয়নের মানুষের পাশে থাকার। আমি চেষ্টা করব আমার ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের সুখে দুঃখে থেকে কাজ করে যেতে। পাশাপাশি শিকলবাহাকে মাদকমুক্ত করতে সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই।’
তবে প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি শুনেই ভোটের সিদ্ধান্ত নেবেন না বলে জানান ভোটাররা। শিকলবাহা ইউনিয়নের মাষ্টার হাট গ্রামের আব্দুল জলিল বলেন, ‘ভোট আসছে চেয়ারম্যান-মেম্বারেরা বাড়ি আসি ভোট চাচ্ছে। ভোট চলে গেলে আমাদের আর কোনো খোঁজ রাখে না তাই যাকে ভোট দিলে উন্নয়ন হবে। এবার দেখি শুনি সৎ মানুষকে ভোট দিব।’
জুলধা ইউনিয়নের পাইপের ঘোড়া গ্রামের গৃহবধূ মাবিয়া খাতুন বলেন, ‘প্রার্থীর মিষ্টি কথায় আমি এবার ভোট দিব নাও। দেখি শুনি ভোট দিব। যিনি গরিব দুখীর কষ্ট বুঝবে, আমাদের গ্রামের উন্নতি করবে তাঁকেই ভোট দিব।’
এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল শুক্কুর।
















